করোনা

করোনা, ‘উন্নয়ন’, এবং কিছু প্রশ্ন

সামিট গ্রুপকে বসিয়ে বসিয়ে ২ হাজার কোটি টাকার বিল দেয়া যায়, এস-আলম গ্রুপের তিন হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স মওকুফ করে দেয়া যায়, কিন্তু সারাবছর হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটা গার্মেন্টসের মেয়েগুলোকে স্ব-বেতনে ছুটি দেয়া যায়না কেন?

করোনা ভাইরাস: ‘জরুরি অবস্থা’ জারি নয়, ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা দরকার

'জরুরী অবস্থা' জারী হলে সাধারণভাবে সংবিধানের ৩৬-৪২ অনুচ্ছেদের মধ্যে ঘোষিত 'মৌলিক অধিকার' যেমন, মানুষের চলাফেরার, সমাবেশের, সংগঠনের, চিন্তা ও মতপ্রকাশের, পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের এবং ধর্মপালনের স্বাধীনতা ইত্যাদি স্থগিত থাকে। অর্থাৎ নির্বাহী আদেশে এই মৌলিক অধিকার গুলি স্থগিত করা যায় আর এর বিরুদ্ধে কেউ চাইলেও রিট করতে পারে না। 'জাতীয় দুর্যোগে'র বদলে ‘জরুরী অবস্থা’ জারী করে মানুষের যতটুকু বাক স্বাধীনতা আছে তাও কেড়ে নিলে, এ বিপর্যয় থেকে এখানকার মানুষদের রক্ষা করা যাবে না।

করোনা মহামারী: ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্রের, ডিহিউম্যানাইজ করে মোকাবিলা সম্ভব না

আমি জানি, আমার এই লেখার দুপয়সা দাম নাই। কিন্তু একথাগুলো বলতে হলো, কারণ অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে মানুষকে গালাগাল করছেন ঠিক সেইভাবে যেভাবে ব্রিটিশরা আমাদের করতো, যেভাবে এখনো পশ্চিমরা, আমাদের করে। উদ্বিগ্ন হয়ে একটা ছোট্ট ব্যাপার যাতে না ভুলে যান, আপনি আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে মানুষকে ডিহিউম্যানাইজ করছেন, অন্যজনও তার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনাকে ডিহিউম্যানাইজ করছে। রাষ্ট্রের ব্যর্থতার দায় মানুষের ওপর চাপিয়ে মানুষকে ডিহিউম্যানাইজ করাটা অন্তত বন্ধ করি! এই দুর্যোগ আমাদের সবার, ডিহিউম্যানাইজ করে এটা মোকাবিলা সম্ভব না।

করোনা, সিস্টেমের গলদ এবং ব্যক্তির উদ্বেগ

আমরা যারা প্রগতিশীল তারা বরাবরের মতো 'গুজব' নিয়ে আতঙ্কে ভুগতেছি। কিন্তু কোন পরিবেশে গুজব হাওয়ার বেগে রটে, কোন পরিবেশ কখন গুজব-উর্বর হয়ে উঠে সে বিষয়ে তারা আলাপ আগে বাড়ান না।

গবেষক নির্যাতন করলে আরো বেশি মানুষ মরবে

গবেষকদের কথা না শোনায় অনেক লাশ সামলাতে হবে দেশকে। গবেষক নির্যাতন শুরু হলে আরো বহুগুণ বেশি লাশ গুনতে হবে। ‘কিলিং দ্যা মেসেঞ্জার’ বা বার্তাবাহককে হত্যা নিজের মৃত্যুই নিশ্চিত করে। কারণ, মেসেঞ্জার বিপদে ফেলতে আসে না, খবর নিয়ে আসে যে বিপদ আসছে। যাতে করে বিপদকে মোকাবেলা করা যায়।

নাওমি ক্লেইনের বয়ানে করোনা , দুর্যোগ পুঁজিবাদ ও শক ডক্ট্রিন

গোটা পৃথিবী করোনা ভাইরাসের থাবায় পর্যুদস্ত। ইতোমধ্যেই অসংখ্য মানুষ নিহত ও আরো বেশি সংখ্যক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। থমকে গেছে গোটা পৃথিবী। সমস্ত রকমের সামাজিক-রাজনৈতিক তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। ক্লেইন এই সাক্ষাতকারে দাবি করছেন, তাঁর দুই দশকের গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি আঁচ করতে পারছেন, এ রকম একটা নজিরবিহীন সংকট ও সংকট-পরবর্তী সময়কে কীভাবে বিশ্বের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এলিটরা তাদের ফায়দা লোটার কাজে লাগাতে পারে।

করোনা মহামারী মোকাবেলায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়ে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশী শিক্ষক-শিক্ষার্থী-গবেষকদের বিবৃতি

এমতাবস্থায় বাংলাদেশে দল-মত নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতাকে অনুধাবন করে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। এই মহামারীকে ঠেকানোর জন্য আমাদের প্রত্যাশা যে সরকার নিম্নলিখিত বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।

গুজব বন্ধের নামে গুজব তৈরি

যখন সরকারী ভাবে তথ্য গোপনের চেষ্টা হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই আরো আতংক তৈরি হয়, মানুষ তখন উল্টো পাল্টা আরো অনেক জিনিস বিশ্বাস করা শুরু করে দেয়। কেউ অতি সতর্ক হয়, কেউ একেবারে পাত্তাই দেয় না। কারণ কোন তথ্য বিশ্বাস করবে আর কোনটা করবে না এই নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এই অবস্থায় করোনার মতন ভাইরাস আরো দ্রুত এবং মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি হয়।

কোয়ারেন্টাইন স্টেট

করোনা ভাইরাসই কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সামনে হাজির হওয়া একমাত্র বিপদ নয়। বরং করোনাকে পুঁজি করে যে রাষ্ট্রশক্তি সমস্ত রকমের স্বাধীনতা-সৃজনশীলতা-সংহতির পথকে রুদ্ধ করতে চায়, সেই রাষ্ট্রশক্তি কিন্তু করোনার চাইতেও অধিকতর বিপদের। এরকম নিরঙ্কুশ গণবিরোধী রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক সংহতির কোন বিকল্প নাই।

ধান-রক্ষা যখন দেশ-রক্ষা: কিছু প্রস্তাব

কিন্তু কৃষক ফসল কাটবে কীভাবে? ফসল রাখবে কোথায়? বিক্রি করবে কীভাবে? এই ধান-চাল নিয়ে দেশের অন্যরা কী ভাবছে? সিদ্ধান্তগুলো এ মাসেই নিতে হবে। নেয়া জরুরি।

কোভিড-১৯: বদলে দিচ্ছে বিশ্ব?

যখন আমরা এ সংকট উতরে যাব, তখন আমাদেরকে হয় খুব ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃত্ববাদী হিংস্র রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বেছে নিতে হবে অথবা সমাজের যৌক্তিক পরিবর্তন ঘটবে, মানবিক এক দয়াবান সমাজ তৈরি হবে যেখানে ব্যক্তিগত লাভের তুলনায় সামষ্টিক মানুষের প্রয়োজন গুরুত্ব পাবে

মহামারির কালে শাসকেরা ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করে

এই আর্টিকেলে তিনি দেখিয়েছেন মানুষের সামনে যদি ভালো–মন্দ বাছাই এর উন্মুক্ত সুযোগ থাকে, তাহলে মানুষ নিজ স্বার্থেই পরিস্থিতি অনুযায়ী ভূমিকা পালন করে এবং সার্ভেইলেন্সের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত করোনা ভাইরাসের মতো সংকট মোকাবেলা করা, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন–যাপন নিয়ন্ত্রণ করা নয়। মানুষ যেন চাইলেই প্রয়োজনে সার্ভেইলেন্স সিস্টেম থেকে বের হয়ে আসতে পারে সেরকম ব্যবস্থাও থাকা উচিত।

করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় রাষ্ট্রচিন্তার ১০ দফ দাবী

গত (১০/০৪/২০২০) তারিখে রাষ্ট্রচিন্তার উদ্যোগে 'সরকারি প্রণোদনা: কার তেল? কার মাথায়?" শীর্ষক একটি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ভিডিও কনফারেন্সে অর্থনীতিবিদ, সমাজ-গবেষক, টেকসই উন্নয়ন গবেষকরা অংশ নেন। বক্তারা করোনা মহামারি সৃষ্ট বর্তমান বিপর্যয় ও আসন্ন সম্ভাব্য বিপর্যয়ের দিকগুলো সম্পর্কে সতর্ক করেন এবং জনগণকে সাথে নিয়ে এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারকে দ্রুত দৃশ্যমান, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। এছাড়াও দ্রুত এই নজিরবিহীন সংকট উত্তরণে কিছু করণীয় সুপারিশ করেন।

করোনা: প্রত্যাশার ভূত-ভবিষ্যত

সংকটের মাঝখানে বসে টের পাচ্ছি, এইসব ভাবনা ফ্যান্টাসি মাত্র। ঘনঘোর বিপর্যয়ের মাঝখানে বসেও যখন কোন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-সংগঠন কেবল মুনাফাকেই প্রাধান্য দেয় তখন বোঝাই যায় আর কোন আশা নেই।

করোনা সঙ্কট: আমাদের শাসকগোষ্ঠীর হালচাল

লুম্পেন পুঁজিবাদের দেশ বাংলাদেশে দেখছি স্কয়ার বা বেক্সিমকোর মতো দানবীয় গ্রুপগুলো অত্যাবশ্যক ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেখান থেকে ৫০০ কোটি ব্যবসা নিশ্চিত করে বড়জোর ৫০ কোটি দান হিসেবে তুলে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। যে তহবিলের টাকা আদৌ উদ্দিষ্ট মানুষের কাছে পৌঁছবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ করার অনেক কারণ ও নজির আছে।

করোনাকালে বোরো ধান: রক্তে-বোনা, নাকি আবারও পাকা ধানে আগুন?

বলা হচ্ছে, করোনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও বিশ্ব অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে, যেটা হবে দীর্ঘস্থায়ী। আর বাংলাদেশ প্রায় বিশ কোটি মানুষের দেশ, যা গোটা ইউরোপের জনসংখ্যার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। আমাদের রাস্তায়, স্টেশনে, ঝুঁপড়িতে, বস্তিতে যতো মানুষ থাকে, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক দেশে মোট মানুষের সংখ্যাও তত নয়। আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য-নিরাপত্তা নির্ভর করে মূলত ধান উৎপাদন এবং তার সংগ্রহ ও বণ্টনে, অর্থাৎ কৃষকের ওপর।

রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে “করোনাকালে চিকিৎসাব্যবস্থা: রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতা , সংকট ও উত্তরণের পথ” শীর্ষক ভিডিও কনফারেন্স

গত ১৪ই এপ্রিল, ২০২০ তারিখে রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে দ্বিতীয় ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বিষয়বস্তু ছিল ‘করোনাকালের স্বাস্থ্যব্যবস্থা : রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, সংকট এবং উত্তরণের পথ’।

করোনার বাস্তবতা: যুদ্ধ নাকি মোকাবেলা

এতোকিছুর মাঝেও ‘করোনাযুদ্ধ’, ‘প্রথম শহীদ’, ‘ফ্রন্টলাইনার’ এই কথাগুলোও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি!!! অনেকেই মোটাদাগে করোনা মোকাবেলাকে ‘করোনাযুদ্ধ’, ডাঃ মইনকে করোনাযুদ্ধের ‘প্রথম শহীদ’ ও ডাক্তারদের ‘ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা’ বানিয়ে ফেলেছেন। পশ্চিমা নেতা-মিডিয়ার ‘যৌথ প্রযোজনা’য় সৃষ্ট করোনাবস্থা কে খুব কায়দা করে যে ‘যুদ্ধাবস্থা’ হিসেবে আমাদের মগজে ‘সেট করা’ গেছে সেটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।

দুঃখিত, সবাই ভ্যাকসিন পাবে- এমন নিশ্চয়তা নেই

বিশ্বে ভ্যাকসিন বাজারের আকার ন্যূনপক্ষে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার। গত দু’দশকে এটা ছয় গুণ বেড়েছে। রোগশোক, আতংক, মৃত্যুভয় বিশ্ব পুঁজিতন্ত্রের মহা প্রাণভোমরাই বটে।

রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে ‘করোনাকালের কৃষি ও ত্রাণ : সংকট ও পরিত্রাণ’ শীর্ষক ভিডিও কনফারেন্স

গত ২০/০৪/২০২০ তারিখে রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে ‘করোনাকালের কৃষি ও ত্রাণ : সংকট ও পরিত্রাণ’ শীর্ষক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ত্রাণ ও...

করোনার শিক্ষা: প্রয়োজন নতুন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও ওষুধনীতির পুনর্গঠন।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেকগুলো রাষ্ট্র করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, সফল হয়েছে। তবে বেশিরভাগ রাষ্ট্রই করোনা নিয়ন্ত্রণে কমবেশি ব্যর্থ হয়েছে। এ নিবন্ধে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে এরকম সফল রাষ্ট্র ও ব্যর্থ রাষ্ট্র নিয়ে আলোচনা করা হল।

পাঠ প্রতিক্রিয়া: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট নিয়ে এত “সংশয়” ও “বিতর্ক” কেন?

লেখক: অনুপম সৈকত শান্ত বিডিনিউজ২৪ এর মতামত পেজে প্রকাশিত জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত নাদিম মাহমুদের “গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাস শনাক্তকারী কিট নিয়ে সংশয় কেন?” শীর্ষক লেখাটি আমার...

দুর্যোগ সহায়তা মনিটরিং কমিটি গঠন ও সরকারী ত্রাণ মনিটরিং প্রতিবেদন প্রকাশ

৩০শে এপ্রিল ২০২০ আজ ৩০শে এপ্রিল বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কিছু মানুষ, যারা বিভিন্ন সময়ে মানুষের নানা সংকট ও দুর্যোগে কথা বলেন ও পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা...

রাষ্ট্রচিন্তার আয়োজনে ‘করোনাকালে সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংকট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ভিডিও কনফারেন্স

আলোচকবৃন্দ করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রে যে সঙ্কটগুলো দেখা যাচ্ছে তার সুলুকসন্ধান করেছেন, পাশপাশি আসন্ন অর্থনৈতিক ক্রাইসিসকে মোকাবিলা করার উপর জোর দিয়েছেন। তারা বলছেন, কেবল ত্রান দিয়েই এই সংকটকে মোকাবিলা করা যাবে না, ত্রান কার্যক্রমের পাশাপাশি পরিত্রানের উপায়ও খুঁজতে হবে। করোনা পরবর্তী রাষ্ট্রের চরিত্র যেন ইনক্লুসিভ হয় সেদিকে নজর রেখে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম ও রাজনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছেন।

দিদারুল ভূঁইয়াকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ঘটনার প্রেস বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাব-৩ পরিচয়ে সাদা পোশাকে রাষ্ট্রচিন্তা ও দুর্যোগ সহায়তা মনিটরিং কমিটির সদস্য দিদারুল ভুঁইয়াকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং বর্তমান বাংলাদেশ।

নাগরিক বিবৃতি: দিদারুল, মুশতাক, কিশোর ও মোমেনকে অবিলম্বে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই!

গত ৪ মে সোমবার রাজধানীতে র‍্যাব-৩ পরিচয়ে অনলাইন এক্টিভিস্ট মুশতাক আহমেদকে এবং পরের দিন (৫ মে) দুর্যোগ সহায়তা মনিটরিং কমিটি ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ভুঁইয়া ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সময়ে তাঁদের কম্পিউটারের সিপিইউ, ল্যাপটপ, বাসার সিসিটিভি সরঞ্জাম কোন তালিকা প্রদান ছাড়াই জব্দ করে নিয়ে যায়।

হার্ড ইমিউনিটি তত্ত্ব এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের স্টিম রোলার

করোনা পরিস্থিতি পার করে হার্ড ইমিউনিটির ভিন্ন আরেক প্রাসংগিকতা সামনে আসতে পারে। কত লোক এর মধ্যে মারা যাবে সেটা যেমন একটা বিষয়, তেমনি ভবিষ্যত দিনগুলোতে মানুষের সম্পদ ও জীবনী শক্তি শুষে নিয়ে মুনাফা বানানো গোষ্ঠীটি মানুষের বেঁচে থাকা আরো হার্ড বানিয়ে দিতে চাইবে। তা রুখতে হলে নিজেদের ইন্টারেস্ট নিয়ে সজাগ থাকতে হবে, প্রতিটি গণবিরোধী সিদ্ধান্তের চূলচেরা সমালোচনা করতে হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক নাগরিকদের মুক্তি দিন এবং এই আইন বাতিল করুন

আজ (০৭/০৫/২০২০, বৃহস্পতিবার) সকাল ১১.৩০টায় রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে রাষ্ট্রচিন্তা, রংপুর ইউনিট এর আয়োজনে ১) রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভুইয়া, কার্টুনিস্ট কিশোরসহ অবৈধভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক...

সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া, গুম-ক্রসফায়ার এবং গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।। ১০ মে ২০২০ মত প্রকাশের দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভুঁইয়াসহ সমস্ত লেখক, কার্টুনিস্ট, এক্টিভিস্ট, সমালোচক ও সাংবাদিকদের মুক্তির...

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রচিন্তার বিবৃতি

একই সময়ে গত ১০ই মে ২০২০ তারিখে রাষ্ট্রচিন্তা ও বন্ধুজনের পক্ষ থেকে “সাদা পোশাকে তুলে নেয়া বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং গণবিরোধী আইন বানানোর সাংবিধানিক ব্যবস্থা সংস্কারের দাবীতে সারাদেশে প্রতিবাদী মানববন্ধন" এর ডাক দেওয়া হয়। এই ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব, মোহাম্মদপুর, টিকাটুলী, উত্তরাসহ সারাদেশের প্রায় সবগুলি বিভাগীয় শহর এবং অনেকগুলি জেলা ও উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সেই আয়োজনে বিভিন্ন সংগঠন, আক্টিভিষ্ট, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী ও সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সেখানে অংশগ্রহণকারী কিছু সংগঠন ও ব্যক্তিদের নিয়েও নানা মাধ্যমে কথা উঠেছে। রাষ্ট্রচিন্তা মনে করে তার সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি দূর করা এই আন্দোলনে শামিলদের একটা কর্তব্যও বটে।

নয়া-এলিটদের অভ্যুত্থানের সাক্ষী হচ্ছি আমরা

লেখক:অর্জুন আপ্পাদুরাই, ভাষান্তর: সারোয়ার তুষার [অর্জুন আপ্পাদুরাই(Arjun Appadurai) ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী। বিশ্বায়নের সাংস্কৃতিক গতিপ্রবাহ নিয়ে কাজে বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি কুড়িয়েছেন। জন সংস্কৃতি নামের একাডেমিক জার্নালের...

অনলাইন সংবাদ সন্মেলনে রাষ্ট্রচিন্তার বিবৃতি

বিষয়: দিদারুল ভূঁইয়া সহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটককৃতদের ঈদের আগেই মুক্তি দিতে হবে! প্রিয় দেশবাসী ও বন্ধুগণ,আপনারা জানেন আমরা একটা ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আছি,...

দুর্যোগ সহায়তা মনিটরিং কমিটি প্রণীত সরকারী ত্রাণ মনিটরিং ২য় রিপোর্ট

প্রকাশের তারিখ: ২৩শে মে ২০২০(প্রথম রিপোর্ট উপস্থাপনের তারিখ: ৩০শে এপ্রিল ২০২০)টিম মেম্বার: চারু হক, রাখাল রাহা, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, গাওহর নঈম ওয়ারা, হাসিবউদ্দিন হোসাইনসম্পাদনা: রাখাল...

জৈবনিরাপত্তা ও রাজনীতি

মূল: জর্জিও আগামবেনভাষান্তর: আ-আল মামুন (আগামবেনের ব্লগ থেকে লেখাটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ডঃ আল্যান ডিন ১১ মে ২০২০ তারিখে) আমাদের দেশে (আর কেবল আমাদের দেশেই...

অনলাইন ক্লাস: সমাধান, নাকি নতুন সংকট?

এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ব, শিক্ষাব্যবস্থাকে অনির্দিষ্টকালের বিরতি থেকে বাঁচাতে ‘অনলাইন শিক্ষা’ কার্যক্রম চালু রেখেছে। কিন্তু এই ব্যবস্থার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রতিকূলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষকেরা। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একাধিক নিবন্ধে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

আইন যখন ন্যায্যতার বিপরীতে অবস্থান নেয়, তখন মানুষের দায়িত্ব সেই আইনকে উপড়ে ফেলা

দুই-দুইবার দেশ স্বাধীন করার পরও কেন একটা স্বাধীন রাষ্ট্র এখনো গড়ে তোলা গেল না, সে বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রনৈতিক চেতনাকে এখনো যে প্রায় বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী পর্যায়ে আটকে রাখা গেছে, তার মূল চাবিকাঠিটা এইখানে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও জনগণের বিরুদ্ধে অনন্ত ‘যুদ্ধ’

সরকারের সমালোচনা করা যাবে না কেন? রাষ্ট্রীয় জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না কেন? সমাজে কি ভিন্নমত থাকবে না? মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি থাকবে না? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার এমন মৌলিক বোঝপড়াগুলোকেও ‘আইনি’ প্রক্রিয়ায় রদ করা হচ্ছে। ফলে, আমাদের চোখের সামনেই আমরা ফ্যাসিবাদী ও একচেটিয়াতন্ত্রের উলঙ্গ আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি।

এইটা কি কোনো পোশাকী মহড়া?

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যে সঙ্কটকাল আমরা এখন পার করছি সেটা সামনের জলবায়ু সঙ্কটের জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত কিংবা কিংবা প্ররোচিত করছে অথবা উস্কানি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমার এই হাইপোথিসিসকে এখন একটু খুঁটিয়ে দেখা দরকার।

ধ্বসে পড়তই, এবার পড়ে গেল

তৈরিপোশাক খাত এবং প্রবাসী কর্মসংস্থান আগে থেকেই ধ্বসে পড়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিল। করোনা এসে ধাক্কা দিয়ে এদের পরিণতিকে চূড়ান্তে পৌঁছে দিল।

অনলাইন ক্লাস কার স্বার্থে?

আমাদের গুরুত্বের তালিকায় ঠিক কি আছে, যেকোনো সংকটে স্পষ্টভাবে তা বোঝা যায়। এই সংকটে শিক্ষাখাত নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ভাবনা চিন্তাটা পরিষ্কার হয়ে দেখা দিচ্ছে তাদের গৃহীত সিদ্ধান্তে।

বাংলাদেশের অর্থবিল বা বাজেট আইন আলোচনায় জিডিপি আর বরাদ্দ বিশ্লেষণ পদ্ধতি কতটা যুক্তিযুক্ত?

যারা মনে করেন ‘আইনের শাসন’ লাগবে তাদের মনে করিয়ে দেয়া যেতে পারে, এই চুরি-লুটপাটের পুরো ব্যবস্থাটা কিন্তু চলছে ‘আইনি’ পথেই। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন এই রাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে এদের চালু করা এই আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করবে, প্রয়োজনে এইসব আইনকে উপেক্ষা করে বলবে এইগুলা বদলাও নয়তো ট্যাক্স-ভ্যাট বন্ধ করে দেবো, সেদিনই ফ্যাসিবাদ নড়েচড়ে বসবে।

বাজেট নিয়ে ‘অপ্রয়োজনীয় কথা’

গল্পের মত ঠাস বুননে যে সব কথা বলা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে – প্রবৃদ্ধি হচ্ছে মোক্ষ, নির্বাণ; সব কিছুর আরাধ্য হচ্ছে প্রবৃদ্ধি। কার জন্যে প্রবৃদ্ধি সেটা বড় কথা নয়।

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষ ট্যাক্স দেয়

এত কিছুর পরেও কেমনে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ট্যাক্স দেয় না? আপনাদের লজ্জা করে না? মানুষ যে টাকা দেয় তার বিপরীতে প্রদত্ত সেবার মান না বাড়লে বাড়তি ট্যাক্স চাওয়া অবৈধ।

যেন অনলাইন ক্লাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যার সমাধান!

তাছাড়া যদি ধরে নেই উপরের সব কিছুই আছে তারপরও কোন কোন শিক্ষকের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কি সেই সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলতে পেরেছে? সব কিছু শুরু করার আগে প্রস্তুতিমূলক একটা হোমওয়ার্ক লাগে আমরা কি সেটাও করেছি?

করোনাকালীন কথকতা: বাজেট, বেতন ও দুর্যোগ সহায়তা

চারু হক কাছাকাছি আয় উন্নতি ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি সম্বলিত রাষ্ট্রগুলো করোনা নামক মহাবিপর্যয় থেকে তাদের মানুষকে রক্ষার লক্ষ্যে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সবই জানা যাচ্ছে।...

ইভান ইলিচের নজর দিয়ে চলমান মারী সম্পর্কিত কয়েকটি জিজ্ঞাসা

এই চিন্তা রাজনীতিবিদদের এরকম আচরণ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি যেন তাঁরা বিজ্ঞানের নিছক কর্তব্যনিষ্ঠ অধীনস্ত৷ আমার মতে, যারা আক্রান্ত না তাঁদের আধা-সঙ্গনিরোধে রাখার নীতি গ্রহণ— যে নীতি খোয়ানো চাকুরি, বন্ধ হওয়া ব্যাবসা-বানিজ্য, হতাশাগ্রস্ত লোক এবং ঋণ জর্জরিত সরকারের ক্ষেত্রে বিপর্যয়কর পরিণামের পিছনে থাকাটা সঙ্গত— একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং সেইভাবেই তা আলোচনার দাবি রাখে। কিন্তু এই মুহূর্তে বিজ্ঞানের প্রশস্ত উর্দির সব রাজনীতিবিদকে এই বিতর্ক থেকে আশ্রয় দিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যমান নৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়েও কেউ আওয়াজ পর্যন্ত তুলে না। সেসব সিদ্ধান্তের ভার বিজ্ঞানের উপর।

ফুকো দিয়ে করোনাভাইরাস মহামারীকে বুঝা?

তদপুরি ফুকোর মতে, আধুনিকতার শুরুর দিকে কুষ্ঠ মডেল প্লেগের ভয় থেকে উদ্ভুত ক্ষমতার নতুন মডেল দ্বারা বাতিল হয়েছে। ফুকো তাঁর এই মডেল বিস্তৃত করেন তাঁর ১৯৭৫ সালের Discipline and Punish: The Birth of the Prison বইতে।সেখানে তিনি যুক্তি দেন, সতের শতক থেকে ক্ষমতার নতুন এক রেজিম হাজির হয়: ডিসপ্লিনারি পাওয়ার। যারা স্বাভাবিক নয় [ডেভিয়েন্ট] তাদেরকে এখন আর সহজভাবে বর্জন করা হলো না, বা আটকেও রাখা হলো না। বরঞ্চ এর বদলে শিশু, সৈনিক, কর্মী, কয়েদী, গরীবসহ ‘সবাই’ কঠোর শৃঙ্খলার শিকার হলেন। শৃঙ্খলার কঠোর কাজের অনুশীলন হিসাবে এটা এভাবে তাদের শরীরকে ‘উৎপাদনক্ষম করে তোলে’।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী কেমন ওষুধনীতি ও স্বাস্থ্যনীতি চেয়েছিলেন

স্বাস্থ্য-নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের পাশাপাশি এসময় জেনারেল এরশাদের পদত্যাগের দাবিতেও দেশে আন্দোলন চলছিল। তারই ফল হিসেবে নব্বুয়ের ডিসেম্বরে এরশাদ পদত্যাগ করেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন বিএমএ’র সভাপতি ডা. এম এ মাজেদ। সরকারের প্রথম দিনই সংসদে প্রস্তাব আকারে থাকা স্বাস্থ্য-নীতি-বিলটি বাতিল হয়। তবে ডা. জাফরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে অনেকেরই রাগ-ক্ষোভ তখনও থামেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকাকে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। এসময় বিএমএ’র নানান দাবির সমর্থনে এগিয়ে আসতে দেখা যায় ওষুধ শিল্প সমিতিকে।