ভলাণ্টিয়াররা কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না?

ক.
করোনা আক্রান্ত রোগী বা করোনা হতে পারে এমন কোনো রোগীর যত্ন বা রোগ-নিরাময় সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে ভলাণ্টিয়াররা কাজ করবেন না।

তারা সরকারের স্বাস্থ্য অধিপ্তর প্রণীত করোনা গাইডলাইন ও নীতিমালাসমূহ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্খার নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীর প্রয়োজনীয় কোনো কিছু পেতে তার পরিবার-পরিজনকে সহযোগিতা করবেন।

.
যারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান, প্রথমে তারা নিজ নিজ এলাকার যারা যারা এই কাজ করতে আগ্রহী তাদের নিয়ে ফেসবুক গ্রুপ খুলবেন। গ্রুপে আলাপ করে আসন্ন বিপদ থেকে বাঁচতে হলে কি কি করা দরকার তা নির্ধারণ করবেন। কাজগুলি করার জন্য কি কি লাগবে তারও একটা তালিকা করবেন। এরপর নির্ধারণ করবেন কোনটা আগে দরকার এবং কোনটা পরে। একই সাথে হিসেব করবেন এর জন্য কি পরিমাণ টাকা-পয়সা খরচ হতে পারে। এভাবে একটি প্রস্তাব তৈরী করবেন।

প্রস্তাবটি তৈরী করে নিজ নিজ এলাকার চেয়ারম্যান / উপজেলা চেয়ারম্যান / কাউন্সিলর / মেয়র / এমপি/ মন্ত্রী বা সরকারের সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থাপন করে জমা দেবেন এবং একই সাথে সেই প্রস্তাব ফেসবুক বা পত্রিকায় সবার জন্য উন্মুক্ত করবেন।

জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবেন সরকারী খরচের অন্যান্য খাত প্রয়োজনে স্থগিত রেখে মানুষকে রক্ষার জন্য আপনাদের প্রস্তাব মতো বরাদ্দ করতে। তাদের বিনয়ের সাথে স্মরণ করিয়ে দেবেন রাষ্ট্রের উন্নয়ন মানুষের জন্য এবং মানুষের টাকাতেই হয়। অতএব, এই দুঃসময়ে উন্নয়নের চেয়ে অনেক বেশি জরুরী অস্তিত্ব রক্ষা, মানুষের জীবন বাঁচানো।

রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহায্য প্রকৃত ভুক্তভোগীদের পাওয়া এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ভুক্তভোগী মানুষদের সাথে নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সহযোগিতা করবেন।

জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের ফোন নাম্বার ও যোগাযোগের ঠিকানা সংগ্রহ করবেন এবং দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষকে দেবেন, যাতে করে তারা জরুরী প্রয়োজনে তাদের সাথে নিজেরাই যোগাযোগ করতে পারেন।
সবসময় মনে রাখবেন, রাষ্ট্র-সরকারের কাছে জনগণের সম্পদ গচ্ছিত আছে। জনগণের সম্পদ, জনগণের বিপদের দিনে, জনগণের জন্য ব্যবহার করা রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব।

গ.
সারা দেশে যেসব সংগঠন বা ব্যক্তি করোনা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি কাজ করছেন তাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন, যাতে সামগ্রিকভাবে সারা দেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়।

ঘ.
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেমে যাওয়ায় সারা দেশের ঘরবন্দী নিম্নবিত্ত মানুষ, বিশেষ করে যারা রাস্তা, ষ্টেশন ও বস্তিতে বসবাস করে, যারা মানুষের সাহায্য গ্রহণ করে চলে এবং যারা প্রতিদিনের আয় দিয়ে প্রতিদিন জীবনযাপন করে তারা খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাচ্ছে কিনা তার খোঁজখবর রাখবেন।

ঙ.
বিশেষ জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বা মানবিক বিপর্যয় রোধে তারা রাষ্ট্র ও সরকারের বরাদ্দ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজের স্বচ্ছল মানুষের সাহায্যে থাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সংগ্রহ ও বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

চ.
এই ডকুমেণ্টে সংযোজিত সরকারের স্বাস্থ্য অধিপ্তর প্রণীত করোনা গাইডলাইন ও নীতিমালাসমূহ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্খার নির্দেশনার বাইরে গিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে কোনো তথ্য প্রচার করবেন না।

এ্কইসাথে ভলাণ্টিয়ারদের জন্য প্রস্তুত করা হাণ্ডবুকটাও পিডিএফ আকারে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে সভা চ্যাট গ্রুপে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সবাই সবাইকে শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *