জায়নবাদ, অথবা পশ্চিমা জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক-কালামতত্ত্ব

মানুষের প্রথম অবাধ্যতা,নিষিদ্ধ গন্ধমের স্বাদমরণ আনলো দুনিয়ায়, আনলো দুঃখ,বেহেশত হইতে বিতাড়িত, যতদিন নাআসলেন সেই মহাত্মা মানব,আবার ফিরাইয়া দিতে আমাদের সেইহারানো মোকাম,সুতরাং গাও, বেহেশতি বন্ধুয়া আমার,ওরেব...

রাষ্ট্রভাবনায় ‘জাতিসত্তা’ বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে

বাংলাদেশের জন্মের পঞ্চাশ বছর পেরিয়েছে। পাঁচ দশকে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের বিচিত্র বাস্তবতায় নানারকম রাজনৈতিক দর্শনেরও জন্ম হয়েছে। মোটা দাগে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দর্শনসমূহ নিতান্তই অগভীর ও বিপজ্জনক।

‘তত্ত্ব করা’র মানে সবার আগে আমাদের নিজেদের ইতিহাসকে তত্ত্বের দিক থেকে বোঝা।। আদিত্য নিগম

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী: সারোয়ার তুষার দিল্লীর প্রথিতযশা বিদ্যায়তনিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর দ্যা স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ (CSDS)-এর ফেলো এবং ভারতীয় বাঙালি চিন্তক আদিত্য নিগমের কাজ সম্পর্কে...

ধরিত্রী আমাদের পানে ফিরে তাকায় না… : দীপেশ চক্রবর্তী

পৃথিবীর কাছে ও অন্য প্রাণীর কাছে মানুষের যে কী এবং কত পরিমাণে ঋণ, মানুষ যেন ভেবেছিল তা সম্পূর্ণ ভুলে মেরে দিয়েও নিজের ক্ষমতা, সুখস্বাচ্ছন্দ্য আর মুনাফা অনির্দিষ্ট ভাবে বাড়িয়ে চলবে। এই সহজ কথাটাও মনে থাকে না, যে অক্সিজেন ব্যতীত আমরা বাঁচতামই না, তাও বাতাসকে জোগান দেয় নানান ‘মনুষ্যেতর’ প্রাণী, এবং এই পৃথিবী গ্রহটির নানান প্রক্রিয়া। এই ভুলে-যাওয়াটার প্রথম শুরু ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী দিনগুলোতে, ধনতান্ত্রিক দুনিয়ার সূচনায়। তার পর সেই পশ্চিম-প্রদর্শিত পথে অন্যান্য দেশের নেতারাও হেঁটেছেন।

নাগরিক অবাধ্যতা

রাজনৈতিক কর্মী ও এক্টিভিস্টদের কাছে, বিশেষ করে যারা অহিংস ধারা বা নন-ভায়োলেন্ট সিভিল রেসিস্ট্যান্স নীতিকে ধারণ করেন বা কার্যকর কৌশল হিসাবে মনে করেন তাদের কাছে এই প্রবন্ধের গুরুত্ব অপরিসীম; এর প্রভাবও পড়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের ওপর। সে তালিকায় মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং প্রমুখ রয়েছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে

বিশ্বাস করুন, স্বল্প আর দীর্ঘমেয়াদি দুই রকমের এই লক্ষ্য জনপ্রিয় করার মাধ্যমে আমরা নতুন এক যুগের সূচনা করতে পারবো। এতক্ষণ যা নিয়ে কথা বললাম, সেই সব ‘সংগ্রাম’, এবং ‘আন্দোলন’ এবং ‘প্রতিবাদে’র নেতিবাচক দ্বান্দিকতা নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। সেই সাথে নিঃশেষ করছে আমাদের। এসব পার হয়ে আমরা হয়ে উঠতে পারব এক নতুন গণ কমিউনিজমের অগ্রদূত। মার্কসের মত করে বললে যার ‘ভূত’ আরও একবার শুধু ফ্রান্স বা ইউরোপ নয়, তাবৎ দুনিয়াকে তাড়িয়ে বেড়াবে।

মাইক্রোপলিটিক্স ও ক্ষমতাকে প্রতিরোধের সীমানা

সংস্কৃতি কারখানা যেসব মূল্যবোধ উৎপাদন করে নিয়ন্ত্রিত সমাজের পক্ষেই কাজ করে। সংস্কৃতি কারখানা তার কার্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনসংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি তার কাঠামোবদ্ধ মূল্যবোধের মাধ্যমে দমন নিপীড়ন ও নিয়ন্ত্রিত কার্যাবলিকে আড়াল করে। গণমাধ্যম কতৃক ভ্রান্ত গণসচেতনতার মাধ্যমে কোন আন্দোলনের কতৃত্ব শেষ পর্যন্ত সার্বভৌম ক্ষমতা নিয়ে নেয়৷ বাস্তবতাকে অবজ্ঞা বা অবদমন করাই যার কাজ।

নম্যাডোলজি বনাম হাজেরাবাদ

পারভেজ আলম ফরাসি দার্শনিক জিল দ্যলুজের একটা বিখ্যাত লেখা আছে “সোসাইটি অফ কন্ট্রোল নামে” (বাংলা অনুবাদ)। মিশেল ফুকো বর্ণিত ডিসিপ্লিনারি সোসাইটি বা শৃঙ্খলার সমাজের ধারণা...

মিডিয়া ও অনুশাসনের কথকতা

এখন মুহূর্তেই ইন্টারনেটে ডিজিটাল বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে, দূরদেশের মানুষ নিকটবর্তী হচ্ছে- ওয়েবক্যামে বসে কেউ ছায়া-সঙ্গীর সাথে মুখোমুখি কথা বলছে। যদিও, সেই ছায়া-মানবদের মুখ ও মুখোশের চেহারা অবিরাম বদলে বদলে যাচ্ছে- ডিজিটাল ফরম্যাটের সুবাদে একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হাজার নামে হাজার রূপে হাজারটা প্লাটফর্মে নিজেদেরকে হাজির করতে পারছে।

ধর্ষণ বলপ্রয়োগ বলাৎকার

মাৎস্যন্যায়ই হচ্ছে রাজনীতি। ধর্ষণের রাজনীতি মোতাবেক নির্দিষ্ট ধর্ষককে আইনত ‘ধর্ষণ’ করে খোদ ধর্ষণ ব্যাপারটাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়– বাঁচানো যায় বৈষম্য ও বলপ্রয়োগভিত্তিক তথাকথিত আইনের শাসনের অনন্ত প্রেমহীনতাকে। এ থেকে উদ্ধার পাওয়ার পথ গেছে বৈষম্যহীন-বলপ্রয়োগহীন-বলাৎকারহীন মুক্ত প্রেমময় সমাজ পরিগঠনের দিকে। অ্যানার্কির দিকে।