রাজনৈতিক কর্মী ও এক্টিভিস্টদের কাছে, বিশেষ করে যারা অহিংস ধারা বা নন-ভায়োলেন্ট সিভিল রেসিস্ট্যান্স নীতিকে ধারণ করেন বা কার্যকর কৌশল হিসাবে মনে করেন তাদের কাছে এই প্রবন্ধের গুরুত্ব অপরিসীম; এর প্রভাবও পড়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের ওপর। সে তালিকায় মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং প্রমুখ রয়েছেন।
আসলে এভাবে পরিবর্তন আসেনা। সব মানুষের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। শিক্ষক এবং নৈরাজ্যবাদী, যোগাযোগকারী বা আন্দোলনকারী, উষ্কানী দাতা এবং শান্তির অগ্রদূত, যিনি খটোমটো একাডেমিক লেখা লিখছেন, আর যে অনুবাদক সেটা সহজ করে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, যে মানুষগুলো ঘটনার বাইরে থেকে তদবির করছে, আর যাদের দাঙ্গা পুলিশ টেনে হিঁচড়ে হাজতে পুরছে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এখন মুহূর্তেই ইন্টারনেটে ডিজিটাল বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে, দূরদেশের মানুষ নিকটবর্তী হচ্ছে- ওয়েবক্যামে বসে কেউ ছায়া-সঙ্গীর সাথে মুখোমুখি কথা বলছে। যদিও, সেই ছায়া-মানবদের মুখ ও মুখোশের চেহারা অবিরাম বদলে বদলে যাচ্ছে- ডিজিটাল ফরম্যাটের সুবাদে একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হাজার নামে হাজার রূপে হাজারটা প্লাটফর্মে নিজেদেরকে হাজির করতে পারছে।
বখতিয়ার আহমেদ সম্পাদকীয় মন্তব্য: নৃবিজ্ঞানী বখতিয়ার আহমেদের এই নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে, দৈনিক যুগান্তরে। ২০১৪ সালে একটি ছোট ভূমিকাসমেত তিনি তার ফেসবুক নোটে...
মনুষ্য–স্বাধীনতার প্রকৃতিপ্রদত্ত স্পৃহা যার অনুভূতি ও চিন্তনে স্বভাবত ক্রিয়াশীল নয়, তার জন্য ‘নৈরাজ্যবাদ’ ইতিহাস বইয়ের একটা নাম মাত্র। এই ধরনের মানুষদের একটা বিরাট অংশ নৈরাজ্যের নাম শুনলে বিরক্তিতে বমি করার উদ্যোগ নেন, আরেকটা বিরাট অংশ নৈরাজ্যের নাম শুনলেই আনন্দে গদগদ হয়ে ওঠেন যেন সারাক্ষণ ‘নৈরাজ্য’ ‘নৈরাজ্য’ করলেই সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর স্বাধীনতা ও সাম্যের বৃষ্টিধারা নেমে আসবে অঝোরে।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যে সঙ্কটকাল আমরা এখন পার করছি সেটা সামনের জলবায়ু সঙ্কটের জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত কিংবা কিংবা প্ররোচিত করছে অথবা উস্কানি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমার এই হাইপোথিসিসকে এখন একটু খুঁটিয়ে দেখা দরকার।