তবে কারাগারই হোক আমাদের সর্বকলাকেন্দ্র!
সত্য উচ্চারণের জন্য বিনা বিচারে জেলে নিক্ষিপ্ত হওয়ায় মতো গৌরব আর কোথায়? জয় হোক আমার দিদার ভাইয়ের। দিদার ভাইদের কারাগারই হয়ে উঠুক আমাদের সর্বকলাকেন্দ্র।
একটি রাষ্ট্রনৈতিক জার্নাল
সত্য উচ্চারণের জন্য বিনা বিচারে জেলে নিক্ষিপ্ত হওয়ায় মতো গৌরব আর কোথায়? জয় হোক আমার দিদার ভাইয়ের। দিদার ভাইদের কারাগারই হয়ে উঠুক আমাদের সর্বকলাকেন্দ্র।
সমালোচনাকে দমন করতে, বিরুদ্ধ মতকে দমন করতে, রাষ্ট্রের জবাবদিহি পরিস্থিতিকে নষ্ট করতে, ভাবমূর্তি ও মান সম্মান ধরে রাখতে, নিজের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে, প্রাইভেসি লঙ্ঘন করতে যে সমস্ত কাজ গুলোকে অপরাধ হিসেবে এই আইনে চিহ্নিত করেছে তার দুই একটা বাদে অধিকাংশই আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে নির্ধারণ করেছে।
এইরকম কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাকাঠামো যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় থাকে আর মানুষের কাছে জবাবদিহি করা নুন্যতম ব্যবস্থা যে সরকার ব্যবস্থায় থাকেনা সেইটা বহাল রেখে অনেক কষ্টেসৃষ্টে হয়তো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমরা বাতিল করাতে পারবো, কিন্তু গণবিরোধী আইন বানানোর ব্যবস্থাকে বদলাতে পারবোনা।
বহুল প্রচারিত এই সব আচরণই যেহেতু ভার্সিটি-টিচারদের মধ্যে সুলভ মনে করেন অনেকে- সুতরাং মোটাদাগে এগুলোই ইদানিং কালের "শিক্ষক-সুলভ আচরণ" বলে বিবেচিত হচ্ছে কি?
রাষ্ট্রচিন্তার পক্ষ থেকে আমরা প্রথমেই বলতে চাই, মানুষের কথা বলার অধিকার রাষ্ট্র সৃষ্টি করে নাই, রাষ্ট্র তা কাড়তেও পারেনা। বরং মানুষ রাষ্ট্র সৃষ্টি করে এইসব অধিকার নির্বিঘ্নে ভোগ করার জন্য।
আপনারা কিছুই করছেন না। এমনই অটো-শাট-আপ হয়ে আছেন যে আপনাদের বলাও যাচ্ছে না—‘যদি টুঁও করতে না পারেন, জাস্ট শাট আপ!’
সরকারের সমালোচনা করা যাবে না কেন? রাষ্ট্রীয় জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না কেন? সমাজে কি ভিন্নমত থাকবে না? মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি থাকবে না? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার এমন মৌলিক বোঝপড়াগুলোকেও ‘আইনি’ প্রক্রিয়ায় রদ করা হচ্ছে। ফলে, আমাদের চোখের সামনেই আমরা ফ্যাসিবাদী ও একচেটিয়াতন্ত্রের উলঙ্গ আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি।
বিষয়: দিদারুল ভূঁইয়া সহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটককৃতদের ঈদের আগেই মুক্তি দিতে হবে! প্রিয় দেশবাসী ও বন্ধুগণ,আপনারা জানেন আমরা একটা ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আছি,...
দিদার, মুশতাক, কিশোরসহ আটক ও গ্রেফতারকৃতদদের মুক্তি ও ফেরত দাও
করোনা পরিস্থিতি পার করে হার্ড ইমিউনিটির ভিন্ন আরেক প্রাসংগিকতা সামনে আসতে পারে। কত লোক এর মধ্যে মারা যাবে সেটা যেমন একটা বিষয়, তেমনি ভবিষ্যত দিনগুলোতে মানুষের সম্পদ ও জীবনী শক্তি শুষে নিয়ে মুনাফা বানানো গোষ্ঠীটি মানুষের বেঁচে থাকা আরো হার্ড বানিয়ে দিতে চাইবে। তা রুখতে হলে নিজেদের ইন্টারেস্ট নিয়ে সজাগ থাকতে হবে, প্রতিটি গণবিরোধী সিদ্ধান্তের চূলচেরা সমালোচনা করতে হবে।