ফৌজদারি মানহানি থেকে সাইবার মানহানি: স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক চর্চার আদ্যপান্ত

অবশ্যই মানহানির কবল থেকে মানুষের মর্যাদাকে রক্ষা করার বিধান থাকতে হবে। মানহানির বিফৌজদারিকরণের মানে এই নয় যে মানহানিকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করতে হবে। এর অর্থ হল মানহানির মামলায় কেবল দেওয়ানি দায় থাকবে।

শাসনের রূপে ষড়যন্ত্র

ষড়যন্ত্র বোঝাতে অ্যাসাঞ্জ এমন একটা ক্ষমতা– সম্পর্ক কে চিহ্নিত করেন, যা জালের মত, এবং তার গিটগুলো কেন্দ্র হিসেবে পরস্পরের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে। এই মিথস্ক্রিয়া ছাড়া ষড়যন্ত্র অসফল। এই মিথস্ক্রিয়া ছাড়া ষড়যন্ত্র অসফল। ষড়যন্ত্রকে এই নিরিখে দেখার অ্যাসাঞ্জের ভঙ্গি কয়েকটি বিষয় খোলাসা করে। প্রথমত, ষড়যন্ত্রকে শাসকতার অংশ হিসেবে থিওরাইজ করা। দ্বিতীয়ত, খোদ ষড়যন্ত্র ও কমিউনিকেশন এর মিথোজীবিতাকে উন্মোচন করা। তৃতীয়ত, পুরো ষড়যন্ত্রকে এতদিন একটা দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবেই দেখা হত; বলা হত এটা তো ‘ষড়যন্ত্রতত্ত্ব’। আর সত্যিকারের কোন ষড়যন্ত্র উন্মোচন করলেও তখন বলা হত, এসব ষড়যন্ত্র দিয়ে সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বোঝা যায় না। অ্যাসাঞ্জের আলাপ এই তৃতীয় প্রকল্পকে ধূলিসাৎ করে দেয়।

বাংলাদেশের বিভাজন ও সংঘর্ষের রাজনীতি প্রসঙ্গে

প্রয়োজন হলো, এদেশে, এ সময়ে, এমন একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কেমন করে সম্ভব হলো তার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা। আর সামগ্রিকভাবে এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার আর কোনো পথ আদৌ অবশিষ্ট আছে কিনা, বা থাকলে কেমন হতে পারে সে পথ, তার অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করা।