মাংস খাওয়া না–খাওয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতি

উৎপাদন বা মজুদ বাড়লেই সকলের খাওয়া বাড়েনা। বরং কমতে পারে। কারণ বড়োলোকের পাগলা চাহিদার চাপ সামলাতে 'ছোটলোকে'র শস্যের জমিতে টান পড়ে। গরু বেড়েছে, মুরগি বেড়েছে, ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ, মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, অথচ কোথাকার ফলানো খাদ্য কোথায় যাচ্ছে, কে পাচ্ছে কে পাচ্ছেনা, যে পাচ্ছেনা সে কেন পাচ্ছেনা, যে পাচ্ছে তার আসলেও এতটা দরকার আছে কিনা, সীমিত সম্পদের দেশে এইসব রাজনৈতিক প্রশ্ন ওঠাতেই হবে।

ধরিত্রী আমাদের পানে ফিরে তাকায় না… : দীপেশ চক্রবর্তী

পৃথিবীর কাছে ও অন্য প্রাণীর কাছে মানুষের যে কী এবং কত পরিমাণে ঋণ, মানুষ যেন ভেবেছিল তা সম্পূর্ণ ভুলে মেরে দিয়েও নিজের ক্ষমতা, সুখস্বাচ্ছন্দ্য আর মুনাফা অনির্দিষ্ট ভাবে বাড়িয়ে চলবে। এই সহজ কথাটাও মনে থাকে না, যে অক্সিজেন ব্যতীত আমরা বাঁচতামই না, তাও বাতাসকে জোগান দেয় নানান ‘মনুষ্যেতর’ প্রাণী, এবং এই পৃথিবী গ্রহটির নানান প্রক্রিয়া। এই ভুলে-যাওয়াটার প্রথম শুরু ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী দিনগুলোতে, ধনতান্ত্রিক দুনিয়ার সূচনায়। তার পর সেই পশ্চিম-প্রদর্শিত পথে অন্যান্য দেশের নেতারাও হেঁটেছেন।

মগজে কারফিউ : কোনটাকে বলি সংবাদ?

আ-আল মামুন [সম্পাদকীয় মন্তব্য: আ-আল মামুন ‘মগজে কারফিউ : কোনটাকে বলি সংবাদ?’ শীর্ষক প্রবন্ধটি ২০০৪ সালে লিখেছিলেন। পরবর্তীতে ফাহমিদুল হক ও আ-আল মামুন সম্পাদিত ‘মিডিয়া...

বিজেপির সাম্প্রদায়িক মিশন এবং আমাদের করনীয়

হাসনাত কাইয়ূম পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি বাংলাদেশকেই প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। সিএএ কার্যকর করার অঙ্গীকারকেও তারা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে তুলে ধরছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাকে নৃশংসভাবে...

নিওলিবারেল জমানার অবসান হচ্ছে। কী আসছে এরপর?

আসলে এভাবে পরিবর্তন আসেনা। সব মানুষের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। শিক্ষক এবং নৈরাজ্যবাদী, যোগাযোগকারী বা আন্দোলনকারী, উষ্কানী দাতা এবং শান্তির অগ্রদূত, যিনি খটোমটো একাডেমিক লেখা লিখছেন, আর যে অনুবাদক সেটা সহজ করে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, যে মানুষগুলো ঘটনার বাইরে থেকে তদবির করছে, আর যাদের দাঙ্গা পুলিশ টেনে হিঁচড়ে হাজতে পুরছে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন খাতে নিরাপত্তাকরণ প্রক্রিয়া

মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান; ভাষান্তর: ডালিয়া চাকমা সম্পাদকীয় মন্তব্য: মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের এই প্রবন্ধটি ২০১৫ সালের ১২ জুনে নিউ এজ পত্রিকায় Securitisation of tourism in CHT...

বাইবেলের এক্সোডাস প্রসঙ্গ এবং কুকুর সমাচার

তবে যাই হোক, বাইবেল হাজির করে ইতিহাসকে এভাবে মেটাফোরিকালি পাঠ করে বর্তমান বোঝার চেষ্টা করার একটা ঝামেলাও আছে। কারণ সর্বোপরি আমাদের তো কোনো মেসিয়ানিক উদ্ধারকারীও এইমুহূর্তে হাজির নাই এইখানে- যে কিনা আমাদেরকে এই উন্নয়নের ফ্যাসীবাদ থেকে প্রাণে বাঁচাবে! তবে আমাদের এই সময়ে ফারাও রাজার মত কেউ আছে কিনা সেটা নিশ্চিত নই!

ভারতের ‘নাগরিকত্ব বিল’: আমাদের প্রয়োজন ‘ইনক্লুসিভ’ রাজনীতি

ভারত 'এক্সক্লুসিভ' রাজনীতি করছে, এর বিরুদ্ধে লড়তে হলে আমাদের আরো বেশি 'ইনক্লুসিভ' রাজনীতি করতে হবে। সচেতনভাবেই। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জবাব সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে হয় না; যদিও একস্থানের সাম্প্রদায়িকতা আরেকস্থানে সাম্প্রদায়িকতাকে উষ্কে দিতে পারে। ভারত রাষ্ট্র হিসেবে 'মুসলমান বিরোধিতা' করছে বলে আমরা যদি এখানে 'হিন্দু বিরোধিতা' করতে যাই তাহলে আমাদের সামনে ভয়ঙ্কর বিপদ। তাই, একমাত্র সবধর্মের 'ইনক্লুসিভ' রাজনীতিই হতে পারে ভারতের ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে মোকাবেলা করার সবচেয়ে বড়ো উপায়।

বানানের রাজনীতি

লেখক: রাখাল রাহা [লেখকের নোট: এই লেখাটায় যে বানান ব্যবহৃত হয়েছে তা বর্তমান বাংলা প্রমিত বানানের সর্বশেষ রূপ নয়। এখানে যেহেতু ১৯৩৬ সালের কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়...