রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক সময়কে বাংলা সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে প্রথম বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু সে ঝাঁকুনি সম্পূর্ণ অচেনা ছিল না; বড় ধরনের বিপর্যয় তাতে ঘটেনি। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক সময় প্রায় সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছিল কল্লোলীয়দের হাতে। তার নন্দনতাত্ত্বিক তাৎপর্য আমাদের এখনকার আলাপের জন্য জরুরি নয়।
রবীন্দ্রনাথ যে ঘর বাঁধার তাড়না অনুভব করেছিলেন তার রূপ ব্যতিরেকে উদ্দেশ্যগত একটি আলাদা তাৎপর্য আছে। ঘরটি তিনি মানুষের জন্য বাঁধতে চেয়েছিলেন। এমন ভাবে বাঁধতে চেয়েছিলেন যাতে মানুষ তার সক্রিয়, সজীব এবং প্রধান অনুষঙ্গ হয়। বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের ঘর আছে, কিন্তু ঘর মানুষের হতে হলে যে প্রয়োজনীয় শর্তটি দরকার তাই যেনো হারিয়েছে। মানুষ বড্ড গৌণ হয়ে আছে। উন্নয়ন, বিকাশ, ঊর্ধ্ব গগনে যাত্রা সবই চলছে, মানুষের জন্য চলছে- মানুষের নামেই চলছে। কিন্তু কোথাও যেনো সে নেই। সাধারণ বিশেষ্য রূপে তার হাজিরা আছে।