জাফরুল্লাহ চৌধুরী কেমন ওষুধনীতি ও স্বাস্থ্যনীতি চেয়েছিলেন

স্বাস্থ্য-নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের পাশাপাশি এসময় জেনারেল এরশাদের পদত্যাগের দাবিতেও দেশে আন্দোলন চলছিল। তারই ফল হিসেবে নব্বুয়ের ডিসেম্বরে এরশাদ পদত্যাগ করেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন বিএমএ’র সভাপতি ডা. এম এ মাজেদ। সরকারের প্রথম দিনই সংসদে প্রস্তাব আকারে থাকা স্বাস্থ্য-নীতি-বিলটি বাতিল হয়। তবে ডা. জাফরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে অনেকেরই রাগ-ক্ষোভ তখনও থামেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকাকে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। এসময় বিএমএ’র নানান দাবির সমর্থনে এগিয়ে আসতে দেখা যায় ওষুধ শিল্প সমিতিকে।

ফুকো দিয়ে করোনাভাইরাস মহামারীকে বুঝা?

তদপুরি ফুকোর মতে, আধুনিকতার শুরুর দিকে কুষ্ঠ মডেল প্লেগের ভয় থেকে উদ্ভুত ক্ষমতার নতুন মডেল দ্বারা বাতিল হয়েছে। ফুকো তাঁর এই মডেল বিস্তৃত করেন তাঁর ১৯৭৫ সালের Discipline and Punish: The Birth of the Prison বইতে।সেখানে তিনি যুক্তি দেন, সতের শতক থেকে ক্ষমতার নতুন এক রেজিম হাজির হয়: ডিসপ্লিনারি পাওয়ার। যারা স্বাভাবিক নয় [ডেভিয়েন্ট] তাদেরকে এখন আর সহজভাবে বর্জন করা হলো না, বা আটকেও রাখা হলো না। বরঞ্চ এর বদলে শিশু, সৈনিক, কর্মী, কয়েদী, গরীবসহ ‘সবাই’ কঠোর শৃঙ্খলার শিকার হলেন। শৃঙ্খলার কঠোর কাজের অনুশীলন হিসাবে এটা এভাবে তাদের শরীরকে ‘উৎপাদনক্ষম করে তোলে’।

ইভান ইলিচের নজর দিয়ে চলমান মারী সম্পর্কিত কয়েকটি জিজ্ঞাসা

এই চিন্তা রাজনীতিবিদদের এরকম আচরণ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি যেন তাঁরা বিজ্ঞানের নিছক কর্তব্যনিষ্ঠ অধীনস্ত৷ আমার মতে, যারা আক্রান্ত না তাঁদের আধা-সঙ্গনিরোধে রাখার নীতি গ্রহণ— যে নীতি খোয়ানো চাকুরি, বন্ধ হওয়া ব্যাবসা-বানিজ্য, হতাশাগ্রস্ত লোক এবং ঋণ জর্জরিত সরকারের ক্ষেত্রে বিপর্যয়কর পরিণামের পিছনে থাকাটা সঙ্গত— একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং সেইভাবেই তা আলোচনার দাবি রাখে। কিন্তু এই মুহূর্তে বিজ্ঞানের প্রশস্ত উর্দির সব রাজনীতিবিদকে এই বিতর্ক থেকে আশ্রয় দিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যমান নৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়েও কেউ আওয়াজ পর্যন্ত তুলে না। সেসব সিদ্ধান্তের ভার বিজ্ঞানের উপর।

করোনাকালীন কথকতা: বাজেট, বেতন ও দুর্যোগ সহায়তা

চারু হক কাছাকাছি আয় উন্নতি ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি সম্বলিত রাষ্ট্রগুলো করোনা নামক মহাবিপর্যয় থেকে তাদের মানুষকে রক্ষার লক্ষ্যে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সবই জানা যাচ্ছে।...

যেন অনলাইন ক্লাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যার সমাধান!

তাছাড়া যদি ধরে নেই উপরের সব কিছুই আছে তারপরও কোন কোন শিক্ষকের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কি সেই সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলতে পেরেছে? সব কিছু শুরু করার আগে প্রস্তুতিমূলক একটা হোমওয়ার্ক লাগে আমরা কি সেটাও করেছি?

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষ ট্যাক্স দেয়

এত কিছুর পরেও কেমনে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ট্যাক্স দেয় না? আপনাদের লজ্জা করে না? মানুষ যে টাকা দেয় তার বিপরীতে প্রদত্ত সেবার মান না বাড়লে বাড়তি ট্যাক্স চাওয়া অবৈধ।

বাজেট নিয়ে ‘অপ্রয়োজনীয় কথা’

গল্পের মত ঠাস বুননে যে সব কথা বলা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে – প্রবৃদ্ধি হচ্ছে মোক্ষ, নির্বাণ; সব কিছুর আরাধ্য হচ্ছে প্রবৃদ্ধি। কার জন্যে প্রবৃদ্ধি সেটা বড় কথা নয়।

বাংলাদেশের অর্থবিল বা বাজেট আইন আলোচনায় জিডিপি আর বরাদ্দ বিশ্লেষণ পদ্ধতি কতটা যুক্তিযুক্ত?

যারা মনে করেন ‘আইনের শাসন’ লাগবে তাদের মনে করিয়ে দেয়া যেতে পারে, এই চুরি-লুটপাটের পুরো ব্যবস্থাটা কিন্তু চলছে ‘আইনি’ পথেই। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন এই রাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে এদের চালু করা এই আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করবে, প্রয়োজনে এইসব আইনকে উপেক্ষা করে বলবে এইগুলা বদলাও নয়তো ট্যাক্স-ভ্যাট বন্ধ করে দেবো, সেদিনই ফ্যাসিবাদ নড়েচড়ে বসবে।

অনলাইন ক্লাস কার স্বার্থে?

আমাদের গুরুত্বের তালিকায় ঠিক কি আছে, যেকোনো সংকটে স্পষ্টভাবে তা বোঝা যায়। এই সংকটে শিক্ষাখাত নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ভাবনা চিন্তাটা পরিষ্কার হয়ে দেখা দিচ্ছে তাদের গৃহীত সিদ্ধান্তে।