প্রযুক্তি-নির্ভর প্রকাশের ক্ষেত্রে আসা পরিবর্তনগুলোর নতুনত্বের ওপর গুরুত্বারোপের সাথে সাথেই জরুরি হলো, রাজনৈতিক চৈতন্যের ক্ষেত্রে আসা পরিবর্তনগুলোও নিবিড়ভাবে পাঠ করা। আজকাল সমাজ কতো সফলভাবে প্রযুক্তির বিন্যাস ঘটাতে পারছে তার ওপরে সম্পদ, ক্ষমতা ও জ্ঞানের প্রবৃদ্ধি অনেকখানিই নির্ভরশীল।
প্রথম আলোতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ছবি ছাপা হয়েছে, যা যুদ্ধের বিভীষিকা তুলে ধরে, পশ্চিমা বাহিনীর বর্বরতা তুলে ধরে। বেশ কিছু ভাল রিপোর্টও আমরা দেখি প্রথম আলোর পাতায়। আর অভিমত পাতায় যে-লেখাগুলোর অনুবাদ ছাপা হয়েছে তার অধিকাংশ লেখাই এই যুদ্ধকে বোধগম্য করে তুলোর জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু সাথে সাথেই বিবেচনায় রাখা দরকার যে প্রথম আলোতে পশ্চিমা প্রচারণাকেও নিভরযোগ্য সত্য হিসেবে তুলে ধরেছে। অধিকাংশ রিপোর্টে পশ্চিমা সংবাদসূত্রের জবানকেই আশ্রয় দেয়া হয়েছে যারা আক্রমণকারীর চোখে এই হামলার ‘ধারাভাষ্য’ দিয়েছে।
বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র প্রথম আলোর এক মাসের বিষয়বস্তু বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই নিবন্ধ তৈরী করা হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০১ থেকে ১১ অক্টোবর ২০০১ সময়কালের প্রথম আলোর প্রতিটি সংখ্যার খবর-মন্ত্যব্য
আ-আল মামুন [সম্পাদকীয় মন্তব্য: আ-আল মামুন ‘মগজে কারফিউ : কোনটাকে বলি সংবাদ?’ শীর্ষক প্রবন্ধটি ২০০৪ সালে লিখেছিলেন। পরবর্তীতে ফাহমিদুল হক ও আ-আল মামুন সম্পাদিত ‘মিডিয়া...
এখন মুহূর্তেই ইন্টারনেটে ডিজিটাল বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে, দূরদেশের মানুষ নিকটবর্তী হচ্ছে- ওয়েবক্যামে বসে কেউ ছায়া-সঙ্গীর সাথে মুখোমুখি কথা বলছে। যদিও, সেই ছায়া-মানবদের মুখ ও মুখোশের চেহারা অবিরাম বদলে বদলে যাচ্ছে- ডিজিটাল ফরম্যাটের সুবাদে একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হাজার নামে হাজার রূপে হাজারটা প্লাটফর্মে নিজেদেরকে হাজির করতে পারছে।
এ সময়ে এসে আমরা এমন কিছু প্রবণতা লক্ষ্য করছি, যা এই দুই বর্গের ভেদরেখা ঘুচিয়ে দেয়। এ যুগে বিষয় ও বিষয়ীর একাকার হয়ে ওঠার বাস্তবতাকে পুরাতন ধারণাগুলো ব্যাখ্যা করতে পারে না।