মাংস খাওয়া না–খাওয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতি

উৎপাদন বা মজুদ বাড়লেই সকলের খাওয়া বাড়েনা। বরং কমতে পারে। কারণ বড়োলোকের পাগলা চাহিদার চাপ সামলাতে 'ছোটলোকে'র শস্যের জমিতে টান পড়ে। গরু বেড়েছে, মুরগি বেড়েছে, ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ, মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, অথচ কোথাকার ফলানো খাদ্য কোথায় যাচ্ছে, কে পাচ্ছে কে পাচ্ছেনা, যে পাচ্ছেনা সে কেন পাচ্ছেনা, যে পাচ্ছে তার আসলেও এতটা দরকার আছে কিনা, সীমিত সম্পদের দেশে এইসব রাজনৈতিক প্রশ্ন ওঠাতেই হবে।

আমরা এখানে কীভাবে এলাম?

উপসংহারে বাংলাদেশ যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহ সংকট মোকাবিলা করছে তাতে এসব ফ্যাক্টর অবদান রাখলেও, আমি এটা বলবো না যে, এক্ষেত্রে অন্য কোনো কারণ নেই। এমনও বোঝাচ্ছি না যে, তা পারস্পরিকভাবে এক্সক্লুসিভ। এর পরিবর্তে, এই ক্ষেত্রগুলো অন্তর্নিহিতভাবে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়ন নীতি এবং আদর্শের সঙ্গে যুক্ত। তাই, বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট, যা আইএমএফের ‘অ্যারাইভালকে সামনে রেখে, তা শুধু মহামারি এবং ইউক্রেন সংকটের ফলে হয়নি।

নিওলিবারেল জমানার অবসান হচ্ছে। কী আসছে এরপর?

আসলে এভাবে পরিবর্তন আসেনা। সব মানুষের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। শিক্ষক এবং নৈরাজ্যবাদী, যোগাযোগকারী বা আন্দোলনকারী, উষ্কানী দাতা এবং শান্তির অগ্রদূত, যিনি খটোমটো একাডেমিক লেখা লিখছেন, আর যে অনুবাদক সেটা সহজ করে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, যে মানুষগুলো ঘটনার বাইরে থেকে তদবির করছে, আর যাদের দাঙ্গা পুলিশ টেনে হিঁচড়ে হাজতে পুরছে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে বাংলাদেশের সব মানুষ ট্যাক্স দেয়

এত কিছুর পরেও কেমনে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ট্যাক্স দেয় না? আপনাদের লজ্জা করে না? মানুষ যে টাকা দেয় তার বিপরীতে প্রদত্ত সেবার মান না বাড়লে বাড়তি ট্যাক্স চাওয়া অবৈধ।

বাজেট নিয়ে ‘অপ্রয়োজনীয় কথা’

গল্পের মত ঠাস বুননে যে সব কথা বলা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে – প্রবৃদ্ধি হচ্ছে মোক্ষ, নির্বাণ; সব কিছুর আরাধ্য হচ্ছে প্রবৃদ্ধি। কার জন্যে প্রবৃদ্ধি সেটা বড় কথা নয়।

বাংলাদেশের অর্থবিল বা বাজেট আইন আলোচনায় জিডিপি আর বরাদ্দ বিশ্লেষণ পদ্ধতি কতটা যুক্তিযুক্ত?

যারা মনে করেন ‘আইনের শাসন’ লাগবে তাদের মনে করিয়ে দেয়া যেতে পারে, এই চুরি-লুটপাটের পুরো ব্যবস্থাটা কিন্তু চলছে ‘আইনি’ পথেই। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন এই রাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে এদের চালু করা এই আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করবে, প্রয়োজনে এইসব আইনকে উপেক্ষা করে বলবে এইগুলা বদলাও নয়তো ট্যাক্স-ভ্যাট বন্ধ করে দেবো, সেদিনই ফ্যাসিবাদ নড়েচড়ে বসবে।

ধ্বসে পড়তই, এবার পড়ে গেল

তৈরিপোশাক খাত এবং প্রবাসী কর্মসংস্থান আগে থেকেই ধ্বসে পড়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিল। করোনা এসে ধাক্কা দিয়ে এদের পরিণতিকে চূড়ান্তে পৌঁছে দিল।