- আরিফ রেজা মাহমুদ
সাংবাদিকতা নিয়ে গালভরা বুলিগুলো আমার ও আমার বন্ধুদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী থাকাকালেই উবে গিয়েছিল। আমরা অ-শিক্ষা করেছিলাম: ‘সাংবাদিকতা সমাজের দর্পণ’; ‘সাংবাদিকতা সত্যের সেনানী’; ‘সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা’! আমরা চিনতে শিখেছিলাম ক্ষমতা ও মিডিয়ার মিথোজীবিতার সম্পর্ক। আমরা দেখেছিলাম রাষ্ট্র-কর্পোরেশনের যৌথ প্রযোজনায় সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে ক্ষমতার মতাদর্শিক এপারেটাস। হয়ে ওঠে ক্ষমতারই বয়ান।
আমরা শিখেছিলাম বাজারের যুগে সংবাদ ও তার নৈতিকতা কেন এবং কীভাবে পণ্যকারী হয়ে ওঠে! ধনুটে ঋণের জালে জর্জরিত কৃষক এবং তাদের অনাহারের গল্প কেন ১৭ নম্বর পাতায় এক কোণে ঝোলে! কেন ক্রিকেটের রমরমা! গেল ২০ বছরে আমাদের শেখা একটি বাক্যও বিফলে যায়নি।
হ্যাঁ, আমরা একাডেমিয়ায় একটা র্যাডিকেল স্কুলিংই পেয়েছিলাম। আমাদের সামনে প্রশ্ন ছিল বিকল্পের। প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকতার স্বকল্পের— সাংবাদিকতার স্বরাজের। আমরা তেমন কিছুরই স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমরা ভেবেইছিলাম স্বকল্পের ভাবনা যখন আছে, কখনো না কখনো এই প্রকল্প আমরা দাঁড় করাবোই। এটা কোন অলীক কল্পনা ছিল না। ছিল প্রাক-রূপায়ন। আমরা ক্ষমতাকে উন্মোচনের হাতিয়ারই করতে চেয়েছিলাম সাংবাদিকতাকে।
আমরা এও শিখেছিলাম আসলে মিডিয়া স্বাধীনতা ততটুকুই যতটুকুতে শাসকশ্রেণী বিভক্ত। আর যতদিন বিকল্প না পারছি দাঁড় করাতে, এই সংকুচিত সীমানাকে প্রসারিত করবো— এটা ভেবেই এই পেশায় এসেছিলাম।
আজকে যখন আমরা সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে দানবীয় কর্পোরেশনের সম্পত্তি হিসেবে সংবাদ সাপ্রেস করতে দেখি, অবাক হই না। অবাক হই না, যখন দেখি সংবাদ হবার শতসহস্র উপাদান এবং মূল্য যুক্ত হলেও তা অপ্রকাশিতব্য হয়ে পড়ে থাকে। সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনা বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে হওয়া ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’ মামলা। হ্যাঁ, প্রভাব- বিজ্ঞাপন- আর পুঁজিপতিদের সিন্ডিকেটেড ক্ষমতা এই সংবাদ কোন না কোনভাবে সাপ্রেস করেছে। আঙ্গুল তুলেছেন অনেকেই: বুদ্ধিজীবী- পাঠক, রাজনৈতিক এক্টিভিস্ট নানা বর্গ।
লাগাম ছাড়া লগ্নি পুঁজি আর মানুষ খেকো মুনাফামুখিনতা যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে তার নতুন রূপ নয়া উদারবাদ। নয়া উদারবাদ এমন এক ব্যবস্থা যার মৌলিক ভিত্তিগুলো একই সঙ্গে নতুন এবং ধ্রুপদী উদারনৈতিক চিন্তা প্রসূত। চমস্কি Washington consensus কে এর ভিত্তি হিসেবে মনে করেন। Washington consensus মূলত যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত বাজার তাড়িত কতকগুলো মৌলিক নীতি যা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ দ্বারা কার্যকর। সমাজের তলানিতে থাকা মানুষ আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ‘টেনে তুলতেই’ নাকি এই নীতি। আদতে যুক্তরাষ্ট্রের গুটিকতক এলিট-বিজনেস টাইকুনের স্বার্থে পরিচালিত এক বাজার লালসা। চমস্কির মতে Washington consensusএর মূল কথা হল:
The basic rules, in brief, are: liberalize trade and finance, let markets set price (“get prices right”), end inflation (“macroeconomic stability”), privatize. The government should “get out of the way”—hence the population too, insofar as the government is democratic, though the conclusion remains implicit. The decisions of those who impose the “consensus” naturally have a major impact on global order. Some analysts take a much stronger position. The international business press has referred to these institutions as the core of a “de facto world government” of a “new imperial age.”
নয়া উদারবাদ ক্রমাগত সামাজিক সুরক্ষাকে সংকুচিত করে ঘটায় পণ্যায়ন। আবার একই সঙ্গে উন্নয়নের গালভরা বুলিতে নিশ্চিত করে পুঁজি ও পণ্যের অবারিত প্রবাহ। জাতিসঙ্ঘ- বিশ্বব্যাংক-আইমএফ- এডিবি- আইএনজিও এমন নানাবিধ প্রতিষ্ঠান মিলে ঠিক করে এর ব্যবস্থাপত্র, দাঁড়ায় শাসনের নতুন বয়ান, নতুন প্রত্যয়, নতুন জ্ঞানতত্ত্ব। এরই নাম নয়া উদারবাদী শাসকতা।
এই শাসকতা কেড়ে নিয়েছে সুখ! হাজির করেছে অন্তহীন মুনাফার প্রতিযোগিতা। সার্ভাইভাল ফর দ্য ফিটেস্টই বাজারের চূড়ান্ত নীতি। ৯০ পরবর্তী বাংলাদেশ এই শাসকতারই পথরেখা অনুসরণ করেছে। বাজার অর্থনীতির তোড়ে সস্তা শ্রমের শ্রমিক ছাড়াও এখানে গজিয়ে উঠেছে শেকড় বিহীন এক নব্য মধ্যবিত্ত। যার কোন অবসর নেই। যার কোন ভাবনার সময় নেই। যার কোন ভাষা নেই। তার বিনোদন বলতে ডে-অফের দিন স্ত্রী-সন্তানসহ রেস্টুরেন্টে ডিনার আর শপিং! এমন একটা শেকড়হীন মধ্যবিত্তকে প্রশ্নহীন রাখা খুবই সহজ। গত তিরিশ বছরে রাজনৈতিক বিকাশের যে উল্টোগতি তা এই বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রতিরোধহীনতার সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
রাষ্ট্র ও তার প্রতিটি অংশকের ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার যে রাজনীতির সূচনা হয়েছে সংবাদ ক্ষেত্র তার বাইরে নয়। সম্প্রতি নিউ এজ সম্পাদক শ্রদ্ধাভাজন নুরুল কবির চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার হাল-হকিকত নিয়ে কথা বলেছেন। আলোচনাটা বেশ মন দিয়ে শুনছিলাম। তাঁর এই বক্তব্য খুবই সত্য যে, একটা অপ্রেসিভ রেজিমে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রটাই সংকুচিত হয়ে যায়।
কিন্তু প্রশ্নটি আবার উল্টো দিক থেকেও করা যায়, একটা ফ্যাসিস্ট–অপ্রেসিভ রেজিমকে ক্রিটিসিজম করতে, এক্সপোজ করতে সাংবাদিকতার কিছু করার আছে কিনা? থাকলে কিভাবে? তার জন্য কেমন সাংবাদিকতা চায়?
আমার বক্তব্য এই দ্বিতীয় জায়গাটায়। আমরা কি সাংবাদিকতাকে রাজনৈতিক ইনস্টিটিউশন মনে করি? আমরা কি মনে করি, চিন্তা ও প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া রাজনীতি তো বটেই এমনকি মানবীয় কর্তাসত্তা তথা স্বীয়তার বোধন ঘটেন না? রাজনৈতিক দল ও এক্টিভিস্ট বন্ধুদের কি সাংবাদিকতা নিয়ে কোন রাজনৈতিক সংকল্প আছে?
সংবাদ প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, এটি চিন্তা-মত-তথ্য প্রকাশের সবচেয়ে বড় প্রাতিষ্ঠানিক জায়গা। কিন্তু নব্বই পরবর্তী সময়ে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত প্রাইভেটাইজড করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বড় বড় লুম্পেন করপোরেশনের কাছে সাংবাদিকতাকে বন্ধক দিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু বাক-স্বাধীনতা তথা মত প্রকাশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ইন্সটিটিউশনকে কোনভাবেই অরক্ষিত রাখা যাবে না, এই ভাবনাটি রাজনৈতিক দল ও এক্টিভিস্ট গ্রুপের মধ্যে উপলব্ধ হওয়া জরুরি। সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে প্রাইভেটাইজ এবং মুনাফামুখিন করে তোলার অর্থই হচ্ছে খোদ বাকস্বাধীনতাকেই প্রাইভেটাইজড করে ফেলা। রাজনীতির দিক থেকে তাই একে আলাদা করে এড্রেস করার সুযোগ আছে। কেননা বাক-স্বাধীনতা বন্ধক দেয়া মানে কথা বলার এজেন্সি হারিয়ে ফেলা।
খেয়াল করে দেখেছি, আমাদের অনেক বন্ধুই চাকরিচ্যুতকরণ বা ছাঁটাই বা গণছাঁটাইকে রাজনৈতিক ঘটনা মনে করেন না। তারা শুধু ‘সাহসী’ এবং ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ আছে এমন সাংবাদিকের চাকরীচ্যুত করণকেই রাজনৈতিক ঘটনা মনে করেন।
নয়া উদারবাদ সাংবাদিকতাকে কোথায় টেনে নিয়ে গেছে? সাংবাদিকতা এখন আর একেবারেই সেন্সরশিপ বা প্রোপাগান্ডা নিয়ে ভাবে না। চলতশক্তিহীন একটা শামুক প্রায়। এখানে কেউ দালালি করে, বেশিরভাগই শুধু চাকরি। গুটি কতক বসের কমান্ডেই সকলে চলে। সাংবাদিকতা এখন ভাবে, আগামী মাসের মজুরি টা পাবে তো?
এই করোনা কালে গণছাঁটাইয়ের বন্যা হল। কত পরিবার ভেসে গেল, কেউ খবর রাখি? কোথাও কোন রিট হয়েছে? সমাজের অপরাপর অংশের কোন তৎপরতা ছিল? আমি সাংবাদিক গণছাঁটাইয়ের ঘটনায় কোন রাজনৈতিক দল বা গ্রুপের একবাক্যর একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তি কখনো হাতে পাইনি! হয়তো তারা নিজেরাই ভবিষ্যৎ কভারেজ হুমকি পড়ার কথা ভাবেন!!
অনেক মধ্য পর্যায়ের সাংবাদিক ডাবল শিফট চাকরি করেন। ৮ ঘণ্টা এখানে তো আর ৬/৭ ঘণ্টা আরেকখানে। কাউকে কাউকে অফিস শেষে হোটেলে ম্যানেজারি করতেও দেখি। কেউ হয়তো বাংলাবাজারের প্রুফ দেখেন। কেউ অনলাইনে পোশাক বিক্রয় করেন। এরাই সিংহভাগ। তাঁরা দালালি করবেন না বলেই তো এসব করছেন।
আমাদের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীগণ যখন বসুন্ধরা মালিকের মামলা ও কোন কোন পত্রিকার ভিক্টিম ব্লেমিংয়ের অপরাধ নিয়ে বলেন, কেন ভারতের মত সংবাদপত্রের পদস্থরা পদত্যাগ করে উদাহরণ তৈরি করছে না?— আমি তাদের জ্ঞান বুদ্ধি আর হুশ ঠাওর করতে পারি না। রাজনৈতিক এক্টিভিস্টরা কি এই পদস্থ, সংবাদ-ব্যুরোক্র্যাট ও স্বেচ্ছাদাসদের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন? রাজনৈতিক এক্টিভিস্টের কাজ কি এই কর্তৃত্বপরায়ণ গোষ্ঠীর ক্ষমতা চরিত্রকে আঙ্গুল দিয়ে চিনিয়ে দেয়া নাকি তার কাছে প্রত্যাশা করতে থাকা, তিনি কবে বিবেকের দায়ে পদত্যাগ করবেন!?
সম্পাদক নুরুল কবির সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে সমাজকে এগিয়ে আসতে বলেছেন। আমি সুনির্দিষ্ট করলে বলবো, হ্যাঁ আমাদের এর জন্য রাজনৈতিক সংকল্প জরুরি। পাটশিল্প বাঁচাতে, জাতীয় সম্পদ রক্ষায় যেমন আমরা কথা বলেছি, তেমন করেই আসলে বাক-স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই সংবাদ প্রতিষ্ঠানের রূপান্তর ও বাঁচানোর প্রশ্ন জরুরি। একে পাবলিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
এখন যদি সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক (বিটিভির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত অর্থে নয়) এবং অটোনোমাস প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর প্রশ্ন থাকে, তাহলে কি করণীয়? এই প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক।
সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ মানে কমপক্ষে ৫১ শতাংশ মালিকানা এমপ্লয়িদের নামে থাকবে।
বিনিয়োগকারীরা পুরোটা বিনিয়োগ করবেন এবং একাধিক বিনিয়োগকারী থাকলে তারা এই ৫১ শতাংশের অর্থ নিজ নিজ শেয়ার রেসিও অনুসারে দেবেন। ৫১ শতাংশের প্রফিট কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তহবিলে জমা হবে না। প্রতিষ্ঠানের যৌথফান্ডে থাকবে।
প্রকাশক, সম্পাদক এবং সম্পাদনা পরিষদ সকল ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উড়ে এসে প্রধান সম্পাদক বনে যাওয়া শিল্পপতি বা আমলারা সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কি হাল বানান তা নতুন করে বলার আছে কি?
আর প্রতিষ্ঠান পাবলিক হোক বা প্রাইভেট, লাভে চলুক বা লসে, চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। শ্রম বাজারের মালিক রিপাবলিক। কাউকে শ্রম কিনতে হলে রিপাবলিকেট কাছ থেকেই কিনতে হবে। এটা সকল চাকরির ক্ষেত্রেই। সে অনুসারে সাংবাদিকের চাকরিও জাতীয়করণ করতে হবে।
অপলেখসহ যেকোন ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আগে প্রেস কাউন্সিলে যেতে হবে। তারপর সেটি সাংবাদিকতা সংশ্লিষ্ট না হলে সাধারণ আদালতে যাবে।
শ্রম আদালত বা শ্রম অধিকার সংক্রান্ত লিগ্যাল সাপোর্টের জন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। বছরের পর বছর পাওনা টাকার জন্য মামলা লড়ার সক্ষমতা কোন সাংবাদিকেরই নেই।
একটা রাজনৈতিক সংকল্প গঠন ছাড়া এক্ষেত্রে কোন পরিবর্তনই সম্ভব নয়।
আমি মনে করি, নিও লিবারালিজম নির্জলা কোন অর্থনৈতিক প্রকল্প না। এটা রাজনৈতিক প্রকল্প। কাজেই রাজনৈতিক ইনস্টিটিউশন রক্ষায় যেমন দফা দাবি থাকে, এক্ষেত্রেও থাকতে হবে।
আমার একটা প্রস্তাব হল, লেখক, সাংবাদিক, সাংবাদিকতার শিক্ষক-ছাত্র, কলামিস্ট, রাইটস এক্টিভিস্ট, বই প্রকাশক, অনলাইন এক্টিভিস্ট, আইনজীবী এবং পাঠকের সমন্বয়ে একটি সম্মিলিত সাংগঠনিক উদ্যোগ গ্রহণ করা।
এটা অন্তত কয়েকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নিতে পারে।
১. টেলিভিশনগুলো শ্রম আইন মত চলার কথা। কিন্তু তারা কোন গ্রাচুটি দেয় না, অনেকে বেতন আটকে দেয়। একটা রিট হওয়া দরকার।
২. চাকরীচ্যুত হওয়া মাত্রই সাংবাদিক বা প্রযোজ্য বর্গ যদি পাওনা টাকার জন্য শ্রম আদালতে যেতে চান তাকে আইনগত সহায়তা করা।
৩. অপলেখ থেকে রক্ষায় তার মামলা লড়া।
আপাতত এটুকুটা দিয়েই আসলে রাজনৈতিক সংকল্প পরিগঠনের উদ্যোগ শুরু হতে পারে।
আমি নিজে আগ্রহী। বন্ধুরা কি আগ্রহী?
০৪ মে ২০২১
- আরিফ রেজা মাহমুদ, সাংবাদিক ও লেখক