মিডিয়ামানুষ!

  • আ-আল মামুন

মানুষ ও মিডিয়ার মাঝখানের অব্যয় জাতীয় ফাঁকটুকুও কি থাকবে না একালে? একালে কি মিডিয়া ও মানুষের এক দশাপ্রাপ্তি, এক সত্তাপ্রাপ্তি ঘটে? ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বলে যে শাশ্বত ‘মানুষ’ ধারণায় আমরা আস্থাবান, তাও কি মিডিয়েটেড?

বিদ্যায়তনে মিডিয়ার বিবিধ তৎপরতা ও সংস্কৃতি নিয়ে জ্ঞানচর্চা হয়। মানুষ মিডিয়া ব্যবহার করে- অনেক প্রয়োজনেই; এবং জগত-জীবন সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে মানুষ মিডিয়ার ওপরে নির্ভর করেন। সমাজের আধিপত্যকারী গোষ্ঠীগুলো তাদের হেজেমনিক আইডিয়াগুলো প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক হিসেবে ‘তুলে ধারার’ মাধ্যমে সমাজের মানুষের ওপর শাসন ও অনুশাসন জারি রাখতেও মিডিয়া ব্যবহার করে। মিডিয়া সমাজে ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র-সমাজ-সংস্কৃতির আকৃতিদানে এক শক্তিশালী কুশীলব। এইগুলো সবই আমরা কমবেশি জানি। কিন্তু, এই সকল ধারণাতেই মিডিয়া ও মানুষ স্বতন্ত্র দুই বর্গ- এক বর্গ কর্তা, আরেক বর্গ হলো তার বিষয়। যেন মানুষ একটা ফিক্সড ক্যাটাগরি, শাশ্বত, চিরন্তন- আর সকল কিছু তার বিষয়। কিন্তু এ সময়ে এসে আমরা এমন কিছু প্রবণতা লক্ষ্য করছি, যা এই দুই বর্গের ভেদরেখা ঘুচিয়ে দেয়। এ যুগে বিষয় ও বিষয়ীর একাকার হয়ে ওঠার বাস্তবতাকে পুরাতন ধারণাগুলো ব্যাখ্যা করতে পারে না। তাই মিডিয়ামানুষ ধারণা নিয়ে একটু নাড়াচাড়া।

‘মানুষ’ কিংবা ধ্রুব মনুষ্যপ্রকৃতি বলে আদৌ কিছু আছে কিনা সেই তর্ক তুলেছিলেন আমাদের সময়ের দুই গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক নোম চমস্কি এবং মিশল ফুকো, ১৯৭১ সালে তরুণ বয়সে। ভাষাতত্ত্ব নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে চমস্কি বলছিলেন, মানুষ জন্মগতভাবেই ভাষাসক্ষমতা নিয়ে জন্মায়, যা অন্য কোনো প্রাণীর ভিতরে দেখা যায় না। মনুষ্যশিশু প্রকৃতিগতভাবেই এক জেনারেটিভ গ্রামার নিয়ে জন্মায়। কোন্ ভাষা-অভিজ্ঞতার ভিতরে শিশুটি জন্মাচ্ছে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো- সে ভাষাসক্ষমতা নিয়ে জন্মাচ্ছে। ফলে একটা ভাষার গুটিকয়েক গ্রামার বুঝে নিয়েই সে অনবরত নতুন নতুন বাক্য তৈরি করতে পারে। এই সৃজনশীলতাকেই তিনি মনুষ্যপ্রকৃতি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এরিস্টটল যেমন বলেছিলেন, ‘ম্যান ইজ র‌্যাশনাল এনিম্যাল’ সেইরকমভাবে চমস্কি বলেন, ‘ম্যান ইজ সিনট্যাক্টিক্যাল এনিম্যাল’- মানুষ অর্থবোধক বাক্য প্রণয়নে সক্ষম প্রাণী। ভাষাক্ষেত্রের এই প্রত্যয়কে চমস্কি বিস্তৃত করেন তার অন্যান্য গবেষণাকর্ম ও রাজনৈতিক তৎপরতায়। যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান, কাঠামো ও বিন্যাস – তা রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যাই হোক না কেন – মানুষের স্বভাবজাত সৃজনশীলতাকে রুদ্ধ করে তার বিরুদ্ধে আজীবন লড়ে যান চমস্কি।

ফুকো এবং চমস্কি

অন্যদিকে, মানুষ বা মনুষ্যপ্রকৃতি বলে ধ্রুব বা চিরন্তন বা ইতিহাসনিরপেক্ষ কিছু আছে কি নেই তা নিয়ে মিশেল ফুকো একেবারেই ভাবিত নন। সকল ধারণাকেই তিনি ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতসহ বিচারে আগ্রহী। তিনি কাজ করেছেন ‘হিস্ট্রি অব দ্য সিস্টেম অব থট’ বা চিন্তাব্যবস্থার ইতিহাস নিয়ে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জ্ঞানকাণ্ডের ভিতরে কীভাবে আমাদের জ্ঞান তৈরি হয় ও ধারণা গড়ে ওঠে; এবং তার সাথে তাল রেখে সমাজে সেইসব ধারণা চর্চার উপযুক্ত নানা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়, বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠীকে সেইসব ধারণার বাহক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তাদের উপরে সেইসব ধারণা প্রয়োগ ঘটে, ধারণাগুলো কীভাবে মানুষের শরীরে-মনে-পরিচয়ে চিহ্ন খোদাই করে যায় তারই ইতিহাস বিচার ফুকোর কাজ। তিনি দেখান, জগজ্জীবনকে ভাববার, বুঝবার এবং চর্চার পুরাতন জ্ঞানকাঠামো ভেঙ্গে গিয়ে উনিশ শতকে আলোকায়ন-বিজ্ঞান-যুক্তিবাদের ঔরসে নতুন এক এপিস্টিম বা জ্ঞানকাঠামোর যাত্রা শুরু হলো, শুরু হলো ক্ষমতার নতুন এক খেলা এবং তারই ছাঁচে সমাজের নানা প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো হতে থাকলো, এবং সর্বোপরি সেইসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীভুক্ত করা, ভাগ করা, সংজ্ঞায়িত করা হতে থাকলো। এ এমন এক জ্ঞান-ক্ষমতার চর্চা যেখানে মানুষ স্বেচ্ছায় তার অধীনস্থ হয়ে পড়ে।

ফলত, মানবপ্রকৃতি ও মানববিজ্ঞান সম্পর্কে চমস্কির বক্তব্য সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেন মিশেল ফুকো। মানবপ্রকৃতি বলে আদৌ কিছু একটা আছে নাকি নেই- এরকম বিমূর্ত প্রশ্ন স্বভাবসুলভ কায়দায় তিনি এড়িয়ে যান এবং এর বদলে প্রশ্ন তোলেন: খোদ মানবপ্রকৃতি ধারণাটি আমাদের সমাজে বিভিন্ন সময়ে কীরূপ ভূমিকা পালন করেছে? আঠারো শতকের প্রণীবিদ্যার উদাহরণ টেনে ফুকো নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কালে বিশেষ বিশেষ জ্ঞানকাণ্ডের ভিতর গড়ে উঠতে থাকা ধারণাসমূহ এবং ‘প্রাণ’ বা ‘মানবপ্রকৃতি’র মতো ইতিহাসোর্ধ্ব ধারণাগত মাইলফলকগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করেন। ফুকোর মতে, ইতিহাসোর্ধ্ব ধারণাগুলো বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকাণ্ডের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন সাধনে খুব সামান্যই ভূমিকা রেখেছে। তার মতে, ‘একজন ভাষাতাত্ত্বিক যা গবেষণার মাধ্যমে বাগধ্বনির রূপান্তরের নীতি আবিষ্কার করেছিলেন, কিংবা একজন ফ্রয়েড স্বপ্ন বিশ্লেষণের নীতি আবিষ্কার করেছিলেন, কিংবা একজন সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানী মিথ-এর কাঠামো আবিষ্কার করেছিলেন সেটা প্রকৃতপক্ষে মানবপ্রকৃতি ছিল না। জ্ঞানের ইতিহাসে মানবপ্রকৃতি ধারণাটি বস্তুত ধর্মতত্ত্ব কিংবা প্রাণীবিদ্যা কিংবা ইতিহাসের সাপেক্ষে বা বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডিসকোর্সকে প্রতিষ্ঠিত করতে জ্ঞানকাণ্ডীয় সূচকের ভূমিকাই পালন করেছে’। সর্বজনীন সত্যতা দাবিকারী ধারণাগুলোর প্রতি ফুকো অত্যন্ত সন্দিহান। তিনি সেগুলো খারিজ করেন না, তবে সবসময় তিনি সেসব অতি-ধারণাগুলোর (grand abstractions) ঐতিহাসিকতা বিচার করার উদ্যোগ নেন। মানবপ্রকৃতি বলে কিছু আছে কি নেই সেব্যাপারে তাই ফুকো শেষ পর্যন্ত কোনো অবস্থান নেন না। বরং আলোচনাটাকে তিনি ঘুরিয়ে নিয়ে অনুসন্ধান করেন ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে এধরনের ধারণা বিভিন্ন জ্ঞানকাণ্ডীয় পরিপ্রেক্ষিতে কোন্ সামাজিক ভূমিকা পালন করেছে। যেমন, ডিসিপ্লিন এন্ড পানিশ গ্রন্থে তিনি দণ্ডের রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করে দেখান, আগের যুগে শাস্তি দেয়া হতো শারীরিকভাবে, এবং সর্বময় ক্ষমতাশালী রাজার দাপট জারি রাখতে পাবলিকলি তার ডিসপ্লে করা হতো- জীবনের অপচয় ছিল ভয়াবহ। কিন্তু উনিশ শতক থেকে শাস্তির গ্রামার গেল বদলে- কঠোর শারীরিক শাস্তি ও তার প্রদর্শনীকে ভাবা হতে থাকলো বর্বরতা হিসেবে। নতুন আদর্শ হয়ে উঠলো: জীবনের অপচয় নয়, বরং আরও প্রোডাকটিভ করে তোলা এই শাস্তির উদ্দেশ্য। ফলে, শাস্তি যতোটা না শারীরিক তারচেয়ে অনেক বেশি মানুষের মনকে অনুশাসনবদ্ধ করতে নিয়োজিত হলো। কারাগারগুলো আর জীবন ধ্বংসকারী অন্ধকূপ থাকলো না, হয়ে উঠলো সংশোধনাগার- আশা করা হতে থাকলো সেখানে অহর্নিশি নজরদারির মধ্যে থেকে কয়েদি অনেক বেশি ডিসিপ্লিনড হয়ে সমাজে ফিরবে। আর কারাগারে নজরদারির এই মডেল ছড়িয়ে দেয়া হলো সমাজে। স্কুল-কলেজ, কারখানা, স্টেডিয়াম, হাসপাতাল সকলখানে- নতুন সময়ের, নতুন জ্ঞান-ক্ষমতা চর্চার উপযুক্ত নতুন মানুষ তৈরির জন্য। তার কাছে, মানুষ বা মনুষ্যপ্রকৃতি কোনো প্রিসাইস ক্যাটেগরি না- ইতিহাসের বাঁকবদলের মুহূর্তগুলোতে, নতুন জ্ঞান-ক্ষমতার চর্চার সুবাদে এই ধারণা বদলে বদলে গেছে। সেহেতু তিনি, উনিশ শতক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আধুনিকতা, বৈজ্ঞানিকতা, যৌক্তিকতার প্রভাবে আধুনিক মানুষের যে অবয়ব তৈরি হলো- নিজের বিষয়ে সতর্ক-দায়িত্বশীল-যৌক্তিক একমাত্রিক এক মানবের অবয়ব – সেটাকে তিনি অর্ডার অব থিংস গ্রন্থে বলে বসেন, জীবনসমুদ্র তীরে বালি দিয়ে তৈরি এক সৌধবিশেষ, যা পরবর্তী ঢেউয়েই বিলীন হয়ে যাবে!

মানবপ্রকৃতি: ন্যায়নিষ্ঠা বনাম ক্ষমতা
ভাষান্তর: আ-আল মামুন

বলা অমূলক হবে না যে, গুটেনবার্গের প্রেস সাথে এবং স্থিতিশীল পুঁজির সাথে আধুনিক যৌক্তিক সংহত মানুষ ধারণার সম্পর্ক ওতপ্রোত। সংবাদপত্র বা বই জাতীয় মুদ্রিত বিষয়গুলো একবার ছাপা হয়ে গেলে স্থায়িত্ব পেয়ে যায়- বদলানো যায় না, একটা নির্দিষ্ট ভাষা-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মানুষের জন্যই এইসব মাধ্যম কাজ করে। মানুষেরও একটা নির্দিষ্ট ভাষা-সংস্কৃতিকেন্দ্রিক পরিচয় গড়ে উঠতে থাকে। আমরা লক্ষ্য করবো, এসময়ে পুঁজির চরিত্রও বিশেষত জাতীয় এবং স্থায়ী। স্থায়ী পুঁজি, স্থায়ী প্রিন্টিং কালচার, স্থায়ী পরিচয়ের মানুষ এই হলো আধুনিকতার হলমার্ক। এসময় আমরা পাই ম্যাস কমিউনিকেশান- যা একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর নির্দিষ্ট পরিচয় গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের আবিষ্কার কেবল ‘পাবলিক’ বা ‘পাবলিক স্ফিয়ার’ ধারণাই বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে খোদ মানুষের অন্তর-বাহির-অবয়ব। সকল নির্দিষ্টতার ধারণাই ফ্লুইড হতে শুরু করেছে- ব্যক্তি, জাতীয়তা, কিংবা পুঁজির গণ্ডীগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। হাতের মোবাইল ফোন, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিতি, বিভিন্নভাবে ডিজিটাল ফরম্যাটে মানুষের প্রোফাইলিং এবং সার্কুলেশন মানুষের একমাত্রিক পরিচয়ের বিনাশ ঘটিয়েছে। একইভাবে, ম্যাস কমিউনিকেশানের উৎপাদন ও বিতরণ কোনোটাই আর একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে সীমিত নাই। মিডিয়েশন ঘটছে বহু স্তরে। বস্তুত দুইশত বছর ধরে গড়ে ওঠা ম্যাস কমিউনিকেশন ধারণাই হুমকিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন প্লাটফর্ম ম্যাস কমিউনিকেশনে হস্তক্ষেপ করছে। ইন্টারনেটে যুক্ত ব্যক্তি ও প্লাটফর্ম ম্যাস কমিউনিকেশান প্রবাহে হস্তক্ষেপ করছে। আর সেকারণে ম্যানুয়াল ক্যাসটেলস এসময়ের কমিউনিকেশনের নাম দিয়েছেন ‘সেল্ফ-ম্যাস কমিউনিকেশন’।

বিভিন্নভাবে মানুষের ডিজিটাল প্রোফাইলিং এবং তার সংরক্ষণ, সেইসাথে বিবিধ উপায়ে মানুষের মিডিয়া চর্চার বিষয়টিকে আমরা যদি মিশেল ফুকোর অবস্থান থেকে দেখি তাহলে বলতে হবে, ঐতিহাসিক এই পরিস্থিতিতে মানুষ ধারণাটিকে আর মিডিয়ার মধ্যস্থতা ছাড়া বুঝবার উপায় নাই। ডোসাইল সাবজেক্ট তৈরির জন্য কারাগারে জনরদারির যে মডেল গড়ে উঠেছিল আধুনিকতার উন্মেষকালে এবং পর্যায়ক্রমে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেই অনুসারে তৈরি হয়েছিল, এখন নতুন মিডিয়া জামানায় সেই নজরদারির কলকব্জা আমাদের ঘরে ঘরে পকেটে পকেটে ঢুকে পড়েছে- ঢুকে পড়েছে মানুষের অন্তরে অন্তরে। মানুষ নিজে বিভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরি করে কিংবা বিভিন্ন প্লাটফর্মে উপস্থিত হয়ে যেমন নিজের পরিচয় নির্মাণ করছে, তেমনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও তার রেকর্ড করছে, বিভিন্নভাবে বিন্যাস করছে- মানুষের পরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করছে। তাই এ সময়ের মানুষকে আর মিডিয়া-উপস্থিতি ব্যতিরেকে চেনা যায় না। এরকম প্রস্তাবনায় প্রাযুক্তিক নিমিত্তবাদের ঝোঁক থাকলেও এ কথাতো অস্বীকার করবার জো নাই যে ব্যবহৃত প্রযুক্তির প্রকৃতি আমাদের সত্তা, অভ্যাস, কল্পনার সীমানা ও স্বভাবকেও খানিকটা বদলে দেয়। ফলে, এক নতুন মানুষের আবির্ভাব হতে যাচ্ছে, এ যুগের এই যাপিত সময়ের সাথেই তাল মিলিয়ে, অঁতুরঘরে তার গন্ধ ও গুঞ্জরণ শোনা যাচ্ছে যার নাম: মিডিয়ামানুষ।

  • আ-আল মামুন: শিক্ষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নোম চমস্কি ও মিশেল ফুকোর বিতর্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *