গবেষক নির্যাতন করলে আরো বেশি মানুষ মরবে

  • লেখক: হেলাল মহিউদ্দীন

এক

জিওর্দানো ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বিজ্ঞান-চর্চ্চার অভিযোগে। গ্যালিলিওকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল আমৃত্যু। আমরাও কি সেরকম মধ্যযুগের অন্ধকারে ফিরছি? ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্বের অধ্যাপক-গবেষকের বিরুদ্ধে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়টিই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে মর্মে খবর বেরিয়েছে। তাঁর একটিই অপরাধ তাঁর কোনো অপরাধ নেই। তিনি যদি বলতেন ‘করোনায় বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি হবেনা’ অপরাধ করতেন। কিন্তু সেজন্য পুরস্কৃত হতেন। যারা এইসব কথা বলে অপরাধটি করছে,তাদের দ্বারা এবং তাদের সমর্থকদের দ্বারা অসংখ্যবার উদ্ধৃত হতেন। সামাজিক মাধ্যমে, টিভিতে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে যেত তাঁর উক্তি। কিন্তু তিনি মিথ্যাবাদীদের পালে যোগ দেননি। বরং মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার, এবং মানুষকে ভয়াবহ রোগ হতে বাঁচানোর রাস্তা খুঁজেছিলেন। এটি তাঁর অপরাধ!

গবেষক মহোদয় বিশ্ববিখ্যাত জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে করোনা সংক্রমনের মডেলিং করেছিলেন। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন। পাঁচ জনের গবেষণা দলের তিনজন বাংলাদেশি। অন্য দুইজন বিদেশি গবেষক। তাঁদের গবেষণাটিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমন হলে বাংলাদেশে কীরকম লোকক্ষয় হতে পারে তার একটি বিজ্ঞানভিত্তিক গাণিতিক পূর্বাভাস ছিল। জানা গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে নীতি-নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছিল। তাহলে বুঝা যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে আগেই করোনা ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশপক্ষ সমস্যাটিকে আমলে তো নেয়ইনি, উলটো মধ্যযুগীয় পদ্ধতিতে গবেষক নিবর্তনের পথে হাঁটছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি দুইজন বিদেশি গবেষকের বিরূদ্ধেও ব্যবস্থা নিবে? নিলে কীভাবে নিবে? জানার উপায় কি?

গবেষকদের কথা না শোনায় অনেক লাশ সামলাতে হবে দেশকে। গবেষক নির্যাতন শুরু হলে আরো বহুগুণ বেশি লাশ গুনতে হবে। ‘কিলিং দ্যা মেসেঞ্জার’ বা বার্তাবাহককে হত্যা নিজের মৃত্যুই নিশ্চিত করে। কারণ, মেসেঞ্জার বিপদে ফেলতে আসে না, খবর নিয়ে আসে যে বিপদ আসছে। যাতে করে বিপদকে মোকাবেলা করা যায়।

দুই

‘কন্টাজিওন’ সিনেমাটি আবারো দেখছেন দুনিয়ার মানুষ। এপিসেন্টার হংকং। করোনাভাইরাস খাসলতের একটি নভেল ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল দুনিয়াময়। কলাবাদুরের মুখের ভাইরাসযুক্ত কলার টুকরা শুকর-খামারে পড়েছিল।পর্কের খাবার হতে মানুষে, মানুষ হতে মানুষভর্তি ক্যসিনোয়, তারপর বিমানে সেই মানুষগুলোর সঙ্গী হয়ে বিশ্বযাত্রা। কাম্যুর ‘দ্য প্লেগ’ উপন্যাসটিও আরেকবার পড়ছেন অনেকেই। ‘দ্য প্লেগ’-এ ডাক্তার বার্নার্ড রিয়ুর পায়ের নীচে মরা ইঁদুর পড়েছিল। লাথি মেরে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেটিই ছিল এপিসেন্টার। ব্যাস, ওরান শহরকে গ্রাস করল মহামারি।

১৯৪৭-এ কা্ম্যুর দ্যা প্লেগ, এবং ১৯৮৯ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চার্লস রোসেনবার্গের বিখ্যাত রিসার্চ আর্টিকেল ‘হোয়াট ইজ় অ্যান এপিডেমিক? এইডস ইন হিস্টোরিক্যাল পার্সপেক্টিভ’ পড়েই যে সডারবার্গ ২০১১ সালে ‘কন্টাজিয়ন’ সিনেমাটি বানালেন—সেটি বুঝাই যায়! অসাধারণ শিক্ষণীয় সিনেমাই বলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচিত ছিল সিনেমাটিকে পৃথিবীর সব ভাষার সাবটাইটেল দিয়ে সহজবোধ্য করে দুনিয়াময় প্রমোট করা। রোসেনবার্গের প্রবন্ধটিও সকল ভাষায় অনুবাদ করে সকল রাষ্ট্রের রোগতত্ত্ব পলিসি নির্ধারকদের জন্য বাধ্যতামূলক পাঠ করে দেওয়া উচিত ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন করলো না, সেজন্য অসন্তুষ্টি জানিয়ে রাখলাম। কারণ, মূর্খ রাজনীতবিদরা কখনোই সমাজবিজ্ঞানীদের ধার ধারে না। তারা সবজান্তা। সবকিছুর সমাধানই তাদের জানা। তাদের একটিই ওষুধ—ক্ষমতার রাজনীতি, এবং গায়ের জোরে ধমক ও লাঠি দিয়ে অন্য সব মত-পথ বুদ্ধি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানকে থামিয়ে দেওয়া।

‘হোয়াট ইজ অ্যান এপিডেমিক? এইডস ইন হিস্টোরিক্যাল পার্সপেক্টিভ’ প্রবন্ধটি প্রত্যেক চিকিৎসা-সমাজবিজ্ঞানী ও চিকিৎসা-নৃবিজ্ঞানীই পড়েছেন বলে সরকারগুলো চাইলে তাঁরা করোনা প্রতিরোধের সহজতম পথ বাতলাতে পারতেন। বুঝাতে পারতেন, অন্য সব মহামারির মত করোনাও যতটা না শরীরের রোগ, তার চাইতে বহু-বহুগুণ বেশি সামাজিক রোগ। ফলে, রোগটির প্রতিরোধ এবং নিরাময়েও ওষুধপত্র যতোটা দরকার, তার চাইতে বহুগুণ বেশি দরকার সামাজিক ওষুধপত্রের বা সোশ্যাল মেডিসিনের।

রোসেনবার্গের গবেষণাপত্রটিতে মহামারির ঐতিহাসিক উদাহরণ ও ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণাদি সহযোগে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে কীভাবে মহামারি এপিসেন্টার হতে সারা দুনিয়ায় ছড়ায়। বিভিন্ন পর্যায়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, সেটিও উল্লেখ করা আছে।প্রতিরোধ-প্রস্তুতি অতীতে কোন পর্যায়ে কী রকম হয়েছিল,এখনো কেমন হয়, এবং আসলে কীরকম হওয়া দরকার ছিল সেইসব ইংগিতও আছে। রোসেনবার্গ কাম্যুর বর্ণনার মত অবস্থাই দেখালেন। কন্টাজিওনে-এ সডারবার্গও রোসেনবার্গ-কাম্যুর মতই দেখালেন যে এপিসেন্টার ছাড়িয়ে দুনিয়ায় মহামারি ছড়ায় তিনটি পর্যায়ে।

রোসেনবার্গের বলা প্রথম পর্যায়কে ‘পাত্তা না দেওয়া পর্ব’ বলা চলে। এইসময় সকলের মধ্যে ‘ধুর কী আর হবে’ ধরণের ঢিলেঢালা ভাবসাব দেখা যায়। দ্য প্লেগে ডাক্তার রিয়ুর মরা ইঁদুরকে পাত্তা না দেবার মতই। আমরা ফেসবুকে স্ট্রিমড ভিডিওতেই দেখেছি চিকিৎসকদের কেউ কেউ বলছিলেন আতংকিত হবার কিচ্ছু নেই।এটি সাধারণ ভাইরাস।তাঁরা শতকরা কতজনের রোগ হল, আর কতজন মারা গেল সংখ্যাগুলো টেনেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলেন। সরকারপক্ষ তো মুখস্থই এইসব কথা বলে চলেছিল। দায়িত্বশীল মন্ত্রী নিশ্চয়ই এমনিএমনিই বলেননি—এটি সাধারণ সর্দি-কাশির মতই। নিশ্চয়ই তাঁকে কেউ সেইরকমটিই বুঝিয়েছিল। হতে পারে ধারণাদানকারী চিকিৎসকদেরই মধ্য হতেই কেউ। চিকিৎসকরাই যেহেতু ‘পাত্তা দেবার মত কিছু নয়’ মনোভঙ্গি দেখালেন, রাজনীতিকদের অবস্থান ‘একে তো নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি’ ধরণের হবারই কথা।

রোসেনবার্গের দ্বিতীয় পর্যায় একটি ‘অস্বীকার-লেজেগোবরে-প্যানিক’ পর্ব। ভয় পাবার মত কিছুই হয়নি ঘোষণা দিয়ে দিয়ে গণ-আতংক ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রকে অস্বীকার-প্রবণ হতে হয়। কারণটি প্রথম পর্বে সমস্যাকে পাত্তা না দেবার গভীরেই নিহিত। রোগ-ব্যবস্থাপনায় এলোমেলো সিদ্ধান্ত, বুঝা ও বুঝানোয় বিভ্রান্তি-ধোঁয়াশা-অস্পষ্টতা এই পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য। জনমনে প্যানিক বা ভীতিসন্ত্রস্ততা এই পর্বেই বাড়ে। প্যানিক-এর মূলে থাকে অনিশ্চয়তা। ইওরোপে ও উত্তর আমেরিকায় ‘প্যানিক শপিং’-এ বাজার উজাড় করে কেনাকাটা করেছে মানুষ। কারণ, তাঁরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন কবে রোগটির প্রতিষেধক মিলবে, বা আদৌ মিলবে কি না!

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চিকিৎসা-অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হয় সঠিক সংবাদ না পাবার অনিশ্চয়তা। সংবাদের প্রতি জনগণের অবিশ্বাস তৈরি হয় নিয়ন্ত্রিত, অবিশ্বাসযোগ্য, পক্ষপাতমূলক, অসম্পূর্ণ ও অনির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রবাহ হতে। ফলে প্যানিক বহুগুণে বাড়ে।প্যানিক-এ ভর করে পুনরায় ফিরে আসে অপসংস্কার, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, ক্ষতিকর উগ্র ধর্মবিশ্বাস।থানকুনি পাতা, গোমূত্র ইত্যাদি করোনার প্রতিষেধক—এইরকম স্বপ্নে-অস্বপ্নে পাওয়া অপবিজ্ঞানে ফিরে যেতে থাকে মানুষ। এই সময় বিপজ্জনক রকমের দোষারোপ-খেলাও শুরু হয়। নিজের ব্যর্থতা অন্যের ওপর চাপানোর সাম্প্রতিক উদাহরণ চীন-আমেরিকার ‘ব্লেইম-গেইম’। সকলেই অপ্রস্তুত্তি ও অসতর্কতার দায়ে একে-ওকে দায়ী করতে থাকে। সমাজে বিভাজন তীব্র হয়। ফলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিপদ প্রতিরোধ করার বদলে দ্বন্দ্ব সংঘাত শুরু হয়। নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে, নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যের স্বার্থ এবং জীবন বিনাশ করতেও পিছপা হয় না অনেকে।আরো জন্ম হয় ষড়যন্ত্র তত্ত্বের। করোনা ল্যাবরেটরি গলে বেরিয়ে আসা একটি জীবাণু অস্ত্র—দুনিয়াজুড়ে এই তত্ত্বে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়।

তৃতীয় পর্যায়টিকে বলা যায় ‘জোর-জবরদস্তিমূলকভাবে জন-প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ’। কী হয় এই সময়ে। নির্দেশনার পর নির্দেশনা আসতে শুরু করে সকল মহলের জন্য। চিকিৎসকদের বলা হয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। জনগণকে বলা হয় ঘরে থাকতে হবে বাধ্যতামূলক। বাজারে-ঘাটে পুলিশ-সেনা নামে খাদ্য ও পণ্যের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে। বাধ্যতামূলক। সকল কিছুতেই জবরদস্তি। উপদেশমালা, কী কী করণীয়,কী কী করণীয় নয়, তার ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলে। তারপরও রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে মহামারিতে রূপ নিলে সেনাবাহিনী নামাতে হয়। কারফিউ, জেল-জরিমানা, শাস্তি, মোবাইল কোর্ট এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি একসঙ্গে মিলে এক ধরণের বিভ্রান্তিকর জগাখিচুড়ি অবস্থার তৈরি হয়। এক পর্যায়ে জনপ্রতিরোধও শুরু হয়। চিকিৎসকরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বসতে পারেন। জনগণ জীবন বাঁচানোর তাগিদে বা প্যানিক ও অনিশ্চয়তার আতিশয্যে নিয়ম ভাঙ্গতে পিছপা হয়না। সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আপাতশক্তিশালী কাঠামো ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে।

তিন

ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রত্যেকটি দেশকে জানিয়ে দিয়েছিল করোনা দুর্যোগ বয়ে আনতে পারে। তখনই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপক্ষের করণীয় ছিল একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা। সেই টাস্ক ফোর্সে রাখা দরকার ছিল জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ববিদ্যার গবেষক, স্বাস্থ্য সমাজবিজ্ঞানী-নৃবিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য মনোবিজ্ঞানীসহ নীতি-নির্ধারকদের। প্রথম দিন হতেই অন্য সব রকম জনগুরুত্ব্বহীন কর্মসূচি কমিয়ে বা বাদ দিয়ে করোনা মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়া দরকার ছিল। রোসেনবার্গের যে তিনটি পর্যায় উপরে উল্লেখ করা হল, টাস্ক ফোর্স তৈরি হলে প্রাথমিক বিবেচনাতেই আসত সেগুলো। সঙ্গে সঙ্গেই বুঝা যেত যে ‘পাত্তা না দেওয়া’ প্রথম পর্যায়টিই আসল পাত্তা দেওয়ার সময়।

কিন্তু বাংলাদেশ হুবহু রোসেনবার্গের মহামারি হবার পর্যায়গুলো ধরে ধরে এগিয়েছে, প্রতিরোধ করতে করতে এগোয় নি।একই রকম আচরণ করেছে ইতালি, ইরান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা। তাই তারা মহামারি সামাল দিতে কেমন হিমসিম খাচ্ছে। পর্যায়গুলোকে ঠেকিয়ে দেবার কৌশল দেখিয়েছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইওয়ান ইত্যাদি দেশ। এই দেশগুলোতেই বড়সড় থাবা বিস্তার করলেও পর্যায়গুলো ঠেকিয়ে দেবার কারণে করোনাকে পরাভূত হতে হয়েছে।

বাংলাদেশি রোগততত্ত্ববিদদের মেধাকে কাজে না লাগিয়ে দমিয়ে দেবার পেছনে যুক্তিগুলো কি কি ঠিক বোধগম্য নয়। তবে এভাবে মুখ চেপে ধরার,অবদমিত করে রাখার এবং নির্যাতনের ভয়ভীতিতে তাঁরা চুপ মেরে গেলে ভীষণ বিপদ। এখন হয়ত মিনমিনিয়েই বলছেন কোন সময়টিতে কী কী করা দরকার। তখন আর কিছুই বলবেন না। আত্মরক্ষায় দেশ ছাড়বেন।

গবেষক নির্যাতন করলে আরো বেশি মানুষ মরবে।

  • হেলাল মহিউদ্দীন: অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান; এবং গবেষক, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *