বাহাত্তরের সংবিধান দিয়ে কি নাগরিকের ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব?

স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত যে সংবিধানের অধীনে দেশ পরিচালিত হচ্ছে তা মূলত বাহাত্তরের সংবিধান। রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ আইনী ডক্যুমেণ্ট হিসাবে প্রত্যেক নাগরিকের তার সংবিধান বুঝে নেওয়ার অধিকার ও প্রয়োজন রয়েছে। এই সংবিধানের আওতায় মানুষের ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব কিনা, বা সম্ভব হলে তা কিভাবে—এই লেখায় তা আমরা দেখার-বোঝার চেষ্টা করবো।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো গণবিরোধী আইন তৈরির ক্ষমতাকাঠামো

এইরকম কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাকাঠামো যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় থাকে আর মানুষের কাছে জবাবদিহি করা নুন্যতম ব্যবস্থা যে সরকার ব্যবস্থায় থাকেনা সেইটা বহাল রেখে অনেক কষ্টেসৃষ্টে হয়তো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমরা বাতিল করাতে পারবো, কিন্তু গণবিরোধী আইন বানানোর ব্যবস্থাকে বদলাতে পারবোনা।

বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসন অর্থায়ন।। রাষ্ট্র-বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক পাঠ: মুক্তিপরায়ণ রূপকল্প

নয়া উদারবাদী শাসকতার দাপটে জ্ঞানের সঙ্গে জীবন-সমাজ-সংস্কৃতির দুরত্ব বাড়ছে। ফলে ক্রমাগত জ্ঞান পরিণত হচ্ছে টেকনোক্রাটিক পারফরমেন্সের বিষয়ে। এর খপ্পর থেকে বেরুতে হলে স্ব-প্রশ্ন জীবন পরীক্ষণের দর্শনের বিকল্প নেই। আর এ জন্যই অকুপাই আন্দোলন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। আমাদের সংগঠিত করতে হবে এমন এক আন্দোলন যার প্রতিরোধ হবে সর্বব্যাপী, গঠন হবে আনুভূমিক, ভাষা হবে নতুন।

বাংলাদেশের সংবিধান: উপনিবেশের উত্তরাধিকার

বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান যে পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যুকৃষ্ট, সম্ভাব্য প্রায় সকল ভাল ভাল বাক্য এবং প্রতিশ্রুতি এখানে অকাতরে উপহার দেয়া আছে, এবং এর গূরুত্ব নিয়েও প্রচুর লেখা হয়েছে। সংবিধান বিষয়ক অধিকাংশ রচনা পাঠ করলে ধারণা হবে ‘৭২ সালের আদি সংবিধান থেকে বিচ্যুত হবার কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান নিয়তি।

‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ প্রসঙ্গে

লিখেছেন হাসনাত কাইয়ুম ‘কনফেসনাল স্টেটমেন্ট’ বা অভিযুক্তের ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ একটা লিগ্যাল টার্ম । ইংরেজি ‘কনফেসন’ শব্দটি একটি ধর্মীয় রিচ্যুয়ালের সাথেও যুক্ত। ধারণা করা যায় ধর্ম...