পরোপকারিতা সংক্রামক

আমার বিশ্বাস, আমার বইয়ের বার্তাটি এসময়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। কেননা শুধুমাত্র ভাইরাস-ই সংক্রামক নয়, আমাদের ব্যবহারও তাই। যদি আমরা ধরে নিই, বেশিরভাগ মানুষ প্রকৃত অর্থেই স্বার্থপর এবং এর ভিত্তিতে এই ভাইরাসকে মোকাবেলা করতে চাই, তবে মানুষের মাঝেও আমরা এটার প্রকাশ দেখতে পাবো। কিন্তু যদি আমরা ভাবি, বেশিরভাগ মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়াতে চায় এবং তারা অন্যকে সাহায্য করতে চায়, কেবল তখনই আমরা মানুষকে উৎসাহিত করতে পারব। এটা কিছুটা চটকদার শোনালেও দয়া বা পরোপকারিতা যে আসলেই সংক্রামক সে ব্যাপারে বহু মনস্তাত্ত্বিক প্রমাণাদি আছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি আপনি যাদেরকে চেনেন না, কখনো দেখেননি তাদেরকেও অনুপ্রাণিত করে।

মানুষের ভালোত্বে বিশ্বাস করা একটি বৈপ্লবিক কাজ : রুটগার ব্রেগম্যান

মানুষকে স্বার্থপর ভাবার প্রবণতা পশ্চিমা সংস্কৃতিতে প্রবল। প্রাচীন গ্রীক থেকে শুরু করে, গোঁড়া খ্রিস্টান, এমনকি এনলাইটমেন্টের দার্শনিকদের মাঝেও এটি দেখা যায়। অবশ্য খুব অল্প হলেও সেখানেও কিছু ব্যতিক্রম ছিল। ১৯ শতকের এনার্কিস্ট পিটার ত্রপোৎকিনের কথাই ধরুণ, তিনি মানুষের ভালোত্বে বিশ্বসা করতেন, এবং অবশ্যই এধরণের মানুষকে তাদের এমন ভয়ংকর চিন্তার জন্য নিগৃহীত হতে হত কেননা উপরতলার মানুষেরা বুঝতে পেরেছিলেন মানবপ্রকৃতির এমন আশাবাদী চরিত্রের ফলাফল কি হতে পারে।