আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাগলাগারদ ও জেলখানা: একটি ফুকোডিয়ান ব্যাখ্যা

চূড়ান্তপর্যায়ে দেখা যায় যে আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জেলখানা এবং পাগলগারদের মতোই কাজ করে: শৃঙ্খলিত করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা।

যেন অনলাইন ক্লাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যার সমাধান!

তাছাড়া যদি ধরে নেই উপরের সব কিছুই আছে তারপরও কোন কোন শিক্ষকের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কি সেই সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলতে পেরেছে? সব কিছু শুরু করার আগে প্রস্তুতিমূলক একটা হোমওয়ার্ক লাগে আমরা কি সেটাও করেছি?

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় ‘নব্য-উদারনীতিবাদ’: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘কৌশলপত্র’ কেন গ্রহণযোগ্য নয়?

চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স বা সেমিস্টার পদ্ধতি ইউজিসির কৌশলপত্র অনুযায়ী হয়নি। তবে মর্মের দিক থেকে এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতির দিক থেকে কৌশলপত্রের সঙ্গে এর যথেষ্ট মিল আছে। এ ধরনের উদ্যোগ কোনো সুফল আনতে পারে না। বরং বিদ্যমান পদ্ধতির তাৎপর্যও নষ্ট করে। এ কারণেই ইউজিসি-প্রণীত কৌশলপত্র সম্পর্কে সতর্কতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যালোচনা করা দরকার।

‘শিক্ষক-সুলভ’ আচরণ!

বহুল প্রচারিত এই সব আচরণই যেহেতু ভার্সিটি-টিচারদের মধ্যে সুলভ মনে করেন অনেকে- সুতরাং মোটাদাগে এগুলোই ইদানিং কালের "শিক্ষক-সুলভ আচরণ" বলে বিবেচিত হচ্ছে কি?

বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসন অর্থায়ন।। রাষ্ট্র-বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক পাঠ: মুক্তিপরায়ণ রূপকল্প

নয়া উদারবাদী শাসকতার দাপটে জ্ঞানের সঙ্গে জীবন-সমাজ-সংস্কৃতির দুরত্ব বাড়ছে। ফলে ক্রমাগত জ্ঞান পরিণত হচ্ছে টেকনোক্রাটিক পারফরমেন্সের বিষয়ে। এর খপ্পর থেকে বেরুতে হলে স্ব-প্রশ্ন জীবন পরীক্ষণের দর্শনের বিকল্প নেই। আর এ জন্যই অকুপাই আন্দোলন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। আমাদের সংগঠিত করতে হবে এমন এক আন্দোলন যার প্রতিরোধ হবে সর্বব্যাপী, গঠন হবে আনুভূমিক, ভাষা হবে নতুন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা সকল মামলা বাতিল করো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা-স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করো!

রাষ্ট্রচিন্তার পক্ষ থেকে আমরা প্রথমেই বলতে চাই, মানুষের কথা বলার অধিকার রাষ্ট্র সৃষ্টি করে নাই, রাষ্ট্র তা কাড়তেও পারেনা। বরং মানুষ রাষ্ট্র সৃষ্টি করে এইসব অধিকার নির্বিঘ্নে ভোগ করার জন্য।

বিউপনিবেশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা

বিউপনিবেশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্র গঠনে তা ভূমিকা রাখবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রাণ ফিরে আসবে।

অনলাইন ক্লাস কার স্বার্থে?

আমাদের গুরুত্বের তালিকায় ঠিক কি আছে, যেকোনো সংকটে স্পষ্টভাবে তা বোঝা যায়। এই সংকটে শিক্ষাখাত নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ভাবনা চিন্তাটা পরিষ্কার হয়ে দেখা দিচ্ছে তাদের গৃহীত সিদ্ধান্তে।

রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়

রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় দুটিই প্রতিষ্ঠান। একটির সাথে আরেকটির গভীর মিল ও নির্ভরতা আছে। বাংলাদেশে দুটির অবস্থাই করুণ। এ প্রবন্ধে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পঞ্চাশ বছর আর বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ বছর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের একটা সম্পর্ক ও সম্ভাবনা বিশ্লেষিত হয়েছে।

অনলাইন ক্লাস: সমাধান, নাকি নতুন সংকট?

এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ব, শিক্ষাব্যবস্থাকে অনির্দিষ্টকালের বিরতি থেকে বাঁচাতে ‘অনলাইন শিক্ষা’ কার্যক্রম চালু রেখেছে। কিন্তু এই ব্যবস্থার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রতিকূলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষকেরা। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একাধিক নিবন্ধে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে।