আত্মসত্তার অন্বেষণ রাজনীতি মুক্ত নয়, এবং ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রসঙ্গ উপেক্ষা করে আলোচনা সম্ভব নয়। সাইল মায়ারাম মনে করেন, তারপরও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো আত্মসত্তার অন্বেষণ এবং আত্মপরিচয় নির্মাণের আকাক্সক্ষা উপেক্ষা করতে পাওে না।
কিন্তু ঔপনিবেশিক স্মৃতির বিউপনিবেশায়নের পুরো ধারণার প্রতিও আমি আগ্রহী। এর দ্বারা আমি বিনির্মাণ (deconstruction) বোঝাচ্ছি। আমাদের বোঝা দরকার উপনিবেশিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেসকল ব্যবস্থা গিয়েছে, তা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আফ্রিকা বা এশিয়া যাই হোক না কেন, সবগুলোকেই মনের বিউপনিবেশায়নের মধ্য দিয়ে যাওয়া দরকার। এটা উপলদ্ধি করা খুব বেশি জরুরি যে, উপনিবেশিক ব্যবস্থা প্রায় সবাইকে বিভিন্ন উপায়ে আক্রান্ত করে।
আমাদের বাংলায় এ অঞ্চলের সাথে মিল রেখে নগরসমস্যার সমাধানগুলি আমাদেরকেই বের করে আনতে হবে। একইভাবে মাথায় রাখা প্রয়োজন যে নগরসমস্যা গ্রামীণ অঞ্চলের সমস্যার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই শহরকে আলাভাবে চিন্তা না করে সামগ্রিকভাবে চিন্তা করতে হবে।
ঔপনিবেশিক প্রভাব কাটিয়ে পুলিশকে যদি জনগণের হতে হয় এবং জনগণের সেবার মধ্য দিয়েই সরকারের দায়িত্ব পালন করতে হয়, তবে পুলিশি ব্যবস্থার চেয়েও সরকার ব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন অধিক জরুরি। সম্মতিভিত্তিক পুলিশিং পুলিশের একার কাজ নয়। পুলিশকে জনগণের হতে হলে পূর্বতন উপনিবেশগুলোর জন্য বিউপনিবেশায়নের রাজনীতির বিকল্প নেই।