ধর্ষণের ক্ষমতা বিন্যাস

ধর্ষণকারী বা যৌন সন্ত্রাসীর ক্ষমতায়ণ নিয়ে আলোচনায় যাওয়ার আগে ধারণাগতভাবে ধর্ষণ কী সেটা বোঝা প্রয়োজন। এরপর একজন পুরুষ কখন, কেন ও কোন নিয়ামকের কারণে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষক হয়ে ওঠে, সেই আলোচনাটি সামনে আনা প্রয়োজন।

কারাগার ও পিতৃতন্ত্র

পিতৃতন্ত্র নামের এই কারাগারটা ভেঙে ফেলা দরকার। তাতে নারীরা যেমন মুক্তি পাবে বন্দিত্ব থেকে, পুরুষরাও তেমনি মুক্তি পাবে রক্ষা করার দায় ও ভার থেকে। নারীপুরুষের সম্পর্কটা সত্যিকার অর্থে মানবিক হয়ে উঠবে, যার ভিত্তি হবে বন্ধুত্ব প্রেম পারস্পরিক শ্রদ্ধা, যা হবে স্বাধীন।

Hegemonic masculinity in state, society

For people in Bangladesh, particularly for the wellbeing of women and children, accumulation of unchecked power and approval of hegemonic masculinity must be stopped right now.

হারকিউলিসের আবির্ভাব এবং বাংলাদেশে নারীবাদী এজেন্ডার সামরিকীকরণ

সামরিকীকরণ বলতে সামরিক বাহিনীর ঐতিহ্যগত ভূমিকার বাইরে সামরিক মতাদর্শের প্রয়োগ করাকেও বোঝায়। এই বোঝাবুঝির আলোকে আমার মনে হয় ধর্ষণকারীকে গুলি করে হত্যা করাকে স্রেফ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বেআইনী কাজ হিসেবে বিশ্লেষণ করার সীমাবদ্ধতা থেকে বাংলাদেশী নারীবাদীদের বের হবার সময় হয়েছে। ধর্ষককে গুলি করে হত্যা করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী বরং এটাই দেখাচ্ছে যে তারা যাচ্ছোতাই করার ক্ষমতা রাখে। এর ফলে আর যাই হোক ধর্ষণ সমস্যার সমাধান একেবারেই হচ্ছে না।

ধর্ষণ বলপ্রয়োগ বলাৎকার

মাৎস্যন্যায়ই হচ্ছে রাজনীতি। ধর্ষণের রাজনীতি মোতাবেক নির্দিষ্ট ধর্ষককে আইনত ‘ধর্ষণ’ করে খোদ ধর্ষণ ব্যাপারটাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়– বাঁচানো যায় বৈষম্য ও বলপ্রয়োগভিত্তিক তথাকথিত আইনের শাসনের অনন্ত প্রেমহীনতাকে। এ থেকে উদ্ধার পাওয়ার পথ গেছে বৈষম্যহীন-বলপ্রয়োগহীন-বলাৎকারহীন মুক্ত প্রেমময় সমাজ পরিগঠনের দিকে। অ্যানার্কির দিকে।