চলচ্চিত্র, চেতনা এবং সেন্সরশিপ

বর্তমানে শ্রোতাদের কাছে নকল প্লট আর সস্থা আইটেম গান দিয়ে ভরা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তাই বেশি কিন্তু এর কারণ রূচি বা বুদ্ধিমত্তা নয়। বাংলাদেশী আমজনতা আকর্ষণীয় এবং চিন্তা-চেতনামূলক সিনেমা থেকে বঞ্চিত । সেন্সর বোর্ডের মতো কর্তৃত্বমূলক সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চলচ্চিত্র প্রোডাকশনের কাঠামো উদ্যমী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন যুগের ভাবনায় নিরুৎসাহিত করে। চলচ্চিত্রকে তার আসল উদ্দেশে পরিবেশন করতে এবং বিপ্লবী ধ্যান ধারণার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হতে হলে প্রথমেই প্রপাগান্ডা ও নিয়ন্ত্রণের ঔপনিবেশিক মূল থেকে শিল্পকে উপড়ে ফেলতে হবে।

উপস্থাপনায় সার্বভৌমত্ব : বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী চলচ্চিত্র

এই সিনেমাগুলো তাদের নিজেদের মনে করিয়ে দেয় যে, তারা অন্য একটি হোমোজেনাস কালচারের প্রবলে সৃষ্ট প্রান্তিকতায় বেমানান কিছু নন- সেই সাথে এটাও মনে করিয়ে দেয় যে, তারা এই দেশেই বাস করেন, যেকথা ‘মেঘের অনেক রঙ’ সিনেমাতে মাথিনকেও বলতে দেখা যায়। বাংলাদেশের ফোর্থ সিনেমাকে প্রতিনিধিত্ব করা পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সিনেমা সবাইকেই মনে করিয়ে দেয় যে, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ যে বৈচিত্র্যতা তা উদযাপন ন্যায়-সমর্থ।