আমরা এখানে কীভাবে এলাম?

উপসংহারে বাংলাদেশ যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহ সংকট মোকাবিলা করছে তাতে এসব ফ্যাক্টর অবদান রাখলেও, আমি এটা বলবো না যে, এক্ষেত্রে অন্য কোনো কারণ নেই। এমনও বোঝাচ্ছি না যে, তা পারস্পরিকভাবে এক্সক্লুসিভ। এর পরিবর্তে, এই ক্ষেত্রগুলো অন্তর্নিহিতভাবে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়ন নীতি এবং আদর্শের সঙ্গে যুক্ত। তাই, বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট, যা আইএমএফের ‘অ্যারাইভালকে সামনে রেখে, তা শুধু মহামারি এবং ইউক্রেন সংকটের ফলে হয়নি।

রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা : ইতিহাসের স্বার্থে বলে রাখা কিছু কথা

আমি জানি বাংলাদেশের সংবাদপত্রের মালিকানার ধরণ, গণমাধ্যমের দলীয় সংশ্লিষ্টতা এবং দেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কারণে আমার এই প্রত্যাশাকে অনেকে নির্বোধসুলভ মনে করতে পারেন, আমি তাঁদের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করবোনা। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহের কারণে এই কথাগুলো ইতিহাসের স্বার্থে হলেও বলে রাখা কর্তব্য মনে করে লিখে রাখলাম। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্তরা ভেবে দেখতে পারেন।

অপরাধের মহামারী, প্রতিবাদের বুজরুকি ও বর্তমানের বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠানগুলো চূর্ণ করে দেয়া হয়েছে, যার পরিণতি হচ্ছে দেশে ধর্ষনের হোতারা বুক চিতিয়ে চলতে পারেন, লুটেরার বুক চিতিয়ে চলতে পারেন, আপনার অধিকার যারা লুট করেছে তাঁরা ক্ষমতার দম্ভ দেখাতে পারেন। বাকি সব চলবে আর ‘সামজিক আন্দোলনের’ মাধ্যমে ধর্ষনের মোকাবেলা করবেন এটা বলতেই পারেন, কিন্ত আপনিও জানেন এগুলো কথার কথা।