স্বাস্থ্য-নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের পাশাপাশি এসময় জেনারেল এরশাদের পদত্যাগের দাবিতেও দেশে আন্দোলন চলছিল। তারই ফল হিসেবে নব্বুয়ের ডিসেম্বরে এরশাদ পদত্যাগ করেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন বিএমএ’র সভাপতি ডা. এম এ মাজেদ। সরকারের প্রথম দিনই সংসদে প্রস্তাব আকারে থাকা স্বাস্থ্য-নীতি-বিলটি বাতিল হয়। তবে ডা. জাফরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে অনেকেরই রাগ-ক্ষোভ তখনও থামেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকাকে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। এসময় বিএমএ’র নানান দাবির সমর্থনে এগিয়ে আসতে দেখা যায় ওষুধ শিল্প সমিতিকে।
আমাদের শিল্প দরকার। দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান দরকারও; সেটা অবশ্যই মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়তে- অসহায়ত্ব চিরস্থায়ী করতে নয়। জিডিপিতে যার যার অবদান যুক্ত হচ্ছে তাদের নিজেদের কথাটুকুও শোনা দরকার।
এই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাংলায় দরিদ্র মুসলমান ও নমশূদ্ররা এতদিনকার সমধর্মী অর্থনৈতিক পাটাতনের পাশাপাশি ঐক্যের একটা নতুন রাজনৈতিক পাটাতনও নির্মাণ করতে সমর্থ হয়েছিল। ৪-৫টি জেলায় প্রায় আট লাখ দরিদ্র নমশূদ্র এবং মুসলমান চাষিদের ঐ ঐক্য চেতনার মৌলিক ভিত্তি ছিল কাস্ট সিস্টেমের বিরোধিতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবল আর্তি।
বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অনেক নাগরিক নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার চান। নির্বাচনী আগ্রহের চলতি জাতীয় মুহূর্তে সেই লক্ষ্যে সংলাপ শুরু করা যায়। কারণ, বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় মৌলিক গলদ রয়েছে।
আলথুসেরের ‘Ideology and Ideological State Apparatuses’ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭০ এর দিকে, এরপর থেকে বিভিন্ন কারণেই এর প্রভাব দুনিয়াতে এখন পর্যন্ত অটুট। আলতাফ পারভেজ এই প্রবন্ধের ভাবানুবাদ করার পাশাপাশি, মার্ক্স-লেনিন-গ্রামসি হয়ে আলথুসের পর্যন্ত মার্ক্সীয় রাষ্ট্রদর্শন বিকাশের একটা চিত্রও এঁকেছেন।