বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে

বিশ্বাস করুন, স্বল্প আর দীর্ঘমেয়াদি দুই রকমের এই লক্ষ্য জনপ্রিয় করার মাধ্যমে আমরা নতুন এক যুগের সূচনা করতে পারবো। এতক্ষণ যা নিয়ে কথা বললাম, সেই সব ‘সংগ্রাম’, এবং ‘আন্দোলন’ এবং ‘প্রতিবাদে’র নেতিবাচক দ্বান্দিকতা নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। সেই সাথে নিঃশেষ করছে আমাদের। এসব পার হয়ে আমরা হয়ে উঠতে পারব এক নতুন গণ কমিউনিজমের অগ্রদূত। মার্কসের মত করে বললে যার ‘ভূত’ আরও একবার শুধু ফ্রান্স বা ইউরোপ নয়, তাবৎ দুনিয়াকে তাড়িয়ে বেড়াবে।

কিশোর বিদ্রোহ: কর্তৃত্ব-নেতৃত্ব-অরাজ

তারা কোন ‘তৃতীয় পক্ষের’ কান পড়ায় বিভ্রান্ত নয়, বিচ্যুত নয়, পক্ষপাতদুষ্ট নয়। তারা ‘সেলফ ম্যানেজমেন্টে’ দীক্ষিত। তাদের এই অহিংস অভিনব প্রতিবাদ-প্রতিরোধেই আমাদের ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিহিত। প্রতিবাদ-প্রতিরোধের এই অভিনব পন্থা কে আমাদের নিজেদের করে নিতে হবে। নিপীড়ক এই রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর সর্বাত্মক সামাজিক নজরদারি-খবরদারি বাড়াতে হবে তাহলেই এই ‘বেপরোয়া রাষ্ট্রযন্ত্র’ কে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

আন্দোলন করে এখন আমরা আসলে কি চাই?

আমাদের মনে রাখতে হবে, উপনিবেশ থেকে স্বাধীন হওয়া দেশে রাষ্ট্র পরিচালনার উপনিবেশিক কাঠামো ও আইনকানুন-বিচারব্যবস্থা যতক্ষণ বহাল থাকবে ততক্ষণ নিরপেক্ষ ভোট দিয়ে যাকেই আমাদের প্রতিনিধি হিসাবে ক্ষমতায় পাঠানো হবে সে-ই নাগরিকের সাথে রাজার মতো, বড়োজোর দলীয় প্রধানের মতো আচরণ করবে; সে-ই জুলুম-অবিচার আর লুটপাট করবে। এটা আমরা ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন করে সরকার গঠন করে দেখেছি।