‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ এবং আমি যখন জনতার লোক

  • দিলশানা পারুল

১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত সাড়ে নয়টায় ইনবক্সে লিঙ্ক পাই আল-জাজিরার “All the Prime Minister’s Men” ডকুমেন্টটার। নিশ্চিত ভাবেই জানি, যে/যিনি লিংক শেয়ার করেছেন সে/তিনি ডকুমেন্টটা পাবলিকলী শেয়ার করার সাহস পাননি। প্রথম ১৫ মিনিট দেখার পর দেখি গলা শুকিয়ে আসছে, স্ক্রিনে সেনাবাহিনী প্রধানের আগমনের সাথে সাথে সত্যি সত্যি বন্ধ করে দিয়েছি। সত্যি সত্যি আমার প্রথম অনুভূতি ছিলো এইটা দেখা ঠিক হচ্ছে কিনা! চাচ্ছিলাম সবাই দেখুক, মনে হচ্ছিলো এই ডকুমেন্টটার মান যাই হোক না কেন একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এইটা সবার দেখা উচিত। বিশেষ করে যারা দেশ ও রাজনীতি নিয়ে ভাবে তাদের এই ডকুমেন্টটা দেখা উচিত এবং এর ভিতরে উত্থাপিত ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ হওয়া উচিত। কিন্তু সত্যি কথা বলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এইটা শেয়ার দেয়ার সাহস হচ্ছিলো না। খুঁজে দেখলাম কেউ শেয়ার দিয়েছে কিনা, যদি দেয় তাহলে তার বরাতে শেয়ার দিব। না কেউ তখনও শেয়ার দেয় নাই। এর মধ্যে ইনবক্সে সবাই এসে লিঙ্ক চাচ্ছে এবং ইনবক্সেই আমাকেও লিঙ্ক দিয়ে গেলো। কিন্তু প্রকাশ্যে তখনও না। ছোট একটা বুদ্ধি বের করলাম ডকুমেন্টটা শেয়ার দেয়ার, ট্রল করে খুব হাস্যরসে শেয়ার দিলাম! তারপর দেখি শুধু আমি না সবাই ট্রল করছে। ট্রলেরও যে এমন পজিটিভ প্রভাব সেইটা আবার দেখলাম। অনলাইনে ভয় কাটাতে আসলেই ট্রলের জুড়ি নাই।

বুকে হাত দিয়ে বলেন আমার মতো আপনিও ভয় পান নাই? এই যে আমরা ভয় পেলাম সেইটা অস্বীকার করতে পারবেন? অস্বীকার করতে পারবেন অনলাইনে লিখতে আমরা ভয় পাই? অস্বীকার করতে পারবেন রাস্তায় পুলিশ, বিজিবি বা সেনা দেখলে অকারণে ভয়ে কলিজা শুকায়ে যায়? এইটাতো হওয়ার কথা না, তাই না? একটা দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় যারা নিয়োজিত আছে তাদের দেখে আমি যে জনতা কোন অপরাধ করি নাই, তারপরও আমাকে ভয়ে শিটিয়ে থাকতে হয় কেন? তার মানে স্বীকার করেন এই রাষ্ট্রে ভয় পাওয়ানোর উপাদান আছে! স্বীকার করেন ডকুমেন্টটাতে যা দেখিয়েছে তাতে ভয় পাওযার উপাদান আছে! আপনি নিজে স্বীকার করবেন না এবং আমাদেরও বলতে দিবেন না।

মাত্র তিন দিনে ইউটিউবে ডকুমেন্টটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ভিউ এবং ২৯ হাজার কমেন্ট করা হয়েছে। মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়েছে। আবার এর উল্টাও আছে। সরকার থেকে বিবৃতি জানিয়ে এর প্রতিবেদনটির নিন্দা জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নিন্দা জ্ঞাপন করেছে, ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক নিন্দা জানিয়েছে, পাবনায় আওয়ামীলীগ আল-জাজিরার ওপর ক্ষোভ জানিয়ে মিছিল করেছে, সর্বোপরি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক’ এই ক্যাম্পেইন হয়েছে। এর বাইরে, সাংবাদিকদের একটা বিরাট অংশ আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়েছেন। ডয়েচে ভেলের মতো সংবাদ সংস্থাও প্রশ্ন তুলেছে আল-জাজিরার ডকুমেন্টটির ক্রেডিবিলিটি নিয়ে। সাংবাদিকদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বিভিন্নভাবে প্রশ্ন তুলেছেন ডকুমেন্টটির ক্রেডিবিলিটি নিয়ে। এই সমস্ত প্রেস রিলিজে এবং বিশিষ্ট জনেরা মূলত যে প্রশ্নগুলো সামনে এনেছেন সেগুলো হলো এইটা সাংবাদিকতার নীতি-বহির্ভূত, এইটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, এইটা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, সমস্ত তথ্য বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর; সরকারি প্রেসনোটে ২০২১ সালের এই ডকুমেন্টারি বিষয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গকে টেনে আনা হয়েছে।

কিন্তু যে প্রশ্নটি এরা কেউ তুলছেন না সেটা হচ্ছে ভিডিও ডকুমেন্টটাতে সুনির্দিষ্ট যে তথ্যগুলো সামনে আনা হয়েছে তার সত্যতা কতটুকু? বিশিষ্টজন হিসেবে যে কাজটি তার করতে পারতেন, কিন্তু করলেন না, সেটা হচ্ছে বাস্তবতার নিরিখে ডকুমেন্টটির রাজনৈতিক পর্যালোচনা। মজার বিষয় হচ্ছে, বিশিষ্টজনেরা, মানে অ-সাধারণরা নিন্দা জ্ঞাপন করে প্রেসরিলিজ দিয়েছেন কিন্তু অ-বিশিষ্টজন, মানে যারা সাধারণ জনতা ঠিকই এই প্রশ্নটি সামনে এনেছে: যা দেখিয়েছে তার সত্যতা কতখানি, তুমি সেইটা বলো! এইখানেই অ-সাধারণ এবং সাধারণ এর রাজনীতির পার্থক্য। দেশের ১৫ বিশিষ্টজন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বিশিষ্ট শিক্ষকগণ যখন বলছেন, এইটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সাধারণ জনতা কিন্তু ঠিকই তখন প্রশ্ন তুলেছে মাফিয়াতন্ত্র আছে, নাকি নাই – তুমি সেইটা বলো।

একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো এই বিশিষ্টজনেরা আল-জাজিরা বলার আগে বলছে কাতার-ভিত্তিক আল-জাজিরা। এরাই কিন্তু বিবিসিকে কোনদিন বলবে না ইংল্যান্ড-ভিত্তিক বিবিসি কিংবা আমেরকিা-ভিত্তিক সিএনএন। কাতার-ভিত্তিক বলছে কারণ আপনাকে ইন্ডিকেশন দিচ্ছে যে দেখেন এইটা হলো জঙ্গি দেশের জঙ্গি তৈরির মিডিয়া। আমাদের চেতনাকে তো এরা আঘাত করবেই কারণ এরা মুসলিম দেশের ইসলামিক মিডিয়া। সাধারণ জনগণকে মোরালি  অবলিগেটেড করে ফেলছে আগে, মানে তুমি কাদের কথা বিশ্বাস করবা? ইসলামপন্থী, নাকি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার? খেয়াল করে দেখেন এই শর্তের সাথে কিন্তু ডকুমেন্টে প্রদর্শিত তথ্যের বিন্দুমাত্র কোনো সম্পর্ক নাই। এই ভিডিও চিত্রের কোথাও কোনো ধর্ম কিংবা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু দেখানো হয়নি, কোনো তথ্য দেয়া হয় নি, তবুও তাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা টেনে আনতে হচ্ছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, আওয়ামীপন্থী মত এবং আশ্চর্যজনকভাবে সাংবাদিকদের একাংশ আকারে-ইঙ্গিতে কিংবা সরাসরি এইটা বললেন যে, আল-জাজিরা কাতার-ভিত্তিক এবং বিভিন্ন সময় তারা জঙ্গি সংগঠন এবং জঙ্গিবাদী মত প্রমোট করে, কাজেই তাদের ডকুমেন্টারিটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অতএব এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমি যদি ধরেও নেই, আল-জাজিরার ডকুমেন্টটি করার পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে বা থাকতে পারে, তারপরও এর বিষয়বস্তু বা তথ্য-উপাত্ত ইনভেলিড হয় কি করে? উপস্থাপিত প্রমাণগুলো ভেলিড নাকি ইনভেলিড – এই প্রশ্নের সাথে তো আসলে ডকুমেন্ট তৈরির ‘উদ্দেশ্য’ প্রাসঙ্গিক হয় না। যদি ধরে নেই আল-জাজিরা বর্তমান সরকারের শত্রুপক্ষ বা শত্রুপক্ষরা আল-জাজিরাকে ব্যাবহার করছে, তাহলে শত্রুপক্ষ তো সবসময়ই এই ধরনের ডকুমেন্ট পেলে লুফে নেবে। এখন একটা ভিডিও ডকুমেন্ট বা ছবি বা নথি যা সুনির্দিষ্ট ঘটনা বা ঘটনা প্রবাহের সাক্ষী বা চিহ্ন বহন করে সেইটাকে তো তার ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে তার ভ্যালিডিটি নির্ধারণ করা যাবে না। একমাত্র ফরেনসিকে যদি প্রমাণ হয় ভিডিওটা ফেইক তাহলেই সেই ভিডিও ডকুমেন্টকে ফেইক বলা যাবে। এর ‘ব্যবহারে’র ওপর নির্ভর করে তো এর ভ্যালিডিটি নাকচ করা যায় না।

এবার আসেন নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে। এই ডকুমেন্টারির ফলে যারা বিপদে পড়েছেন তাদের জন্য এইটা গ্রহণযোগ্য না হওয়ারই কথা, কিন্তু বাদবাকি সাধারণ জনতার জন্য যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ভিডিও, ছবি বা নথিপত্র ফেইক কেউ প্রমাণ করার দায়িত্ব নিচ্ছে, এর তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ না করার তো কোনো কারণ নেই।

এই ডকুটার প্রধান বিষয়বস্তু খুবই সুনির্দিষ্ট। সেইটা হচ্ছে বাংলাদেশের বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে মাফিয়াতন্ত্রের চর্চা আছে কিনা? থাকলে তার ক্ষমতার উৎস কোথায়? ডকুমেন্টটি সরাসরি এই প্রশ্ন দুটোর উত্তর খুঁজেছে। এবং এই ডকুমেন্টের জাস্টিফিকেশনের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে গোপন ভিডিও, অডিও রেকর্ড, স্থির চিত্র (ফটো) এবং পেপার ডকুমেন্টের বাইরে এরা কোন বক্তব্য পেশ করেনি, কোনো ন্যারেটিভও দাড় করেনি। আল-জাজিরা যে কাজটা করেছে তথ্য প্রমাণাদিকে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করেছে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং উপস্থাপনায় নান্দনিকতা এনে একটি স্টোরি টেলিং মুডে পুরো ডকুমেন্টারিটি উপস্থাপন করেছে। যেই ঢঙটা আসলে পুঁজি বাজারের আন্তর্জাতিক সকল মিডিয়াতে খুবই চর্চিত একটি বিষয়। যেই দুর্বলতাটা ডকুমেন্টারিতে আছে সেইটা হচ্ছে সম্পূরক প্রমাণ দাখিল করার ক্ষেত্রে তারা সীমাবদ্ধতা দেখিয়েছে। মানে একটা বিষয়ে প্রমাণ একটাই আছে। যেমন স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও অথবা কোনো চুক্তিপত্র কিন্তু সেই প্রমাণটাকে আরও পাকাপোক্ত করার জন্য ডাটা ট্রাইএঙ্গুলেশন তারা করতে পারে নি। মানে একটা তথ্যকে ভেরিফাই কারার জন্য তিন দিক থেকে তথ্য প্রমাণ হাজির করা এই যাযগাটায় ডকুমেন্টটার সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু এই সীমাবদ্ধতার জন্য যে তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়েছে সেইগুলা ইনভেলিড হয়ে যায় না, বা খারিজও হয়ে যায় না। এবং এই ধরনের সেনসিটিভ তথ্যের ট্রাইংগুলেশনের জন্য তথ্য পাওয়াও কঠিন, সেইটাও বিবেচনা করতে হবে। 

এবার এই প্রশ্নে আসি, যে প্রশ্নটা ডয়েচেভেলে সহ প্রধানত সাংবাদিকরা তুলেছেন। এই ডকুমেন্টটি সাংবাদিকতার নৈতিকতার মানদণ্ডে পাশ করে কি না। Ethicaljouranalism.org সাইটে ঢুকে পেলাম, আন্তর্জাতিকভাবে পাঁচটি মূল আদর্শকে সাংবাদিকতার নৈতিকতার মানদণ্ড হিসেবে দেখা হয়। ১)সত্য এবং সঠিকতা ২)স্বাধীন মত হতে হবে। কোনভাবেই সাংবাদিকতা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় কাজ করবে না। ৩) স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। ৪) মানবিক হতে হবে ৫) কাজের জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এখন এই পাঁচটা নৈতিক মানদণ্ডের কোনটি আসলে আল-জাজিরার ডকুমেন্টটি লঙ্ঘন করেছে? যতক্ষণ পর্যন্ত না ফরেনসিক করে ডকুমেন্টে ব্যবহৃত ভিডিও ফুটেজ, স্থির চিত্র এবং অডিও রেকর্ডিং টেম্পারড হিসেবে আপনি প্রমাণ করতে পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই ডকুমেন্টারি যে সত্য তথ্য উপস্থাপন করেনি তা আপনি বলতে পারেন না এবং তা খারিজও করতে পারেন না। এইটা যে ঠিক এই কথাটা সবচেয়ে বেশি প্রমাণ দিয়েছে সরকার সর্মথক মানুষরাই। তারা বারবার একটা কথা বলেছে যে, এই ডকুতে নতুন কি দেখিয়েছে? কোনো তথ্যই নতুন না, সবই আমরা জানি। এই যে স্বীকারোক্তি, এইটাই প্রমাণ করে এই ঘটনাগুলো বাস্তবে বিদ্যমান। তার মানে সঠিক। দ্বিতীয় নৈতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, এইটা কি কোন গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছে? কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছে না, তবে সাধারণ জনগণের স্বার্থ তো রক্ষা করছেই। তৃতীয়ত, নিরপেক্ষতার প্রশ্নেই সবাই সবচেয়ে বেশি বলছেন যে, যেহেতু এই ডকু সরকারের বিরুদ্ধে যায় তার মানে এইটা বিরোধী দলের পক্ষে যায় কাজেই এই ডকুমেন্ট নিরপেক্ষ না। দল বিভক্ত যে কোনো রাজনৈতিক সমাজে ঘটমান ঘটনা একদলের বিপক্ষে গেলে অপর দলের পক্ষে যাবেই। তা দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষতা বিচার্য হয় না। আল-জাজিরার ডকুমেন্টর ক্ষেত্রে ঠিক এইটাই হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি  সঙ্কটে পড়লে যদি বিরোধী দল লাভবান হয় সেই দায় বা কৃতিত্ব কোনটাই আসলে আল-জাজিরার না। তাদের কাজ তারা করে গেছে। এখন আমি বরং উল্টো প্রশ্ন করি বাংলাদেশের যে গণমাধ্যমগুলো আছে, বুকে হাত দিয়ে বলেন এই তিনটা নৈতিক মানদণ্ডের কয়টা আপনার মানেন? আর কয়টা ভঙ্গ করেন? সরকার পক্ষীয় রাজনৈতিক দল লাভবান হয়, বা সরকারী দলের পক্ষে যায় এমন ধরণের সংবাদ সারাক্ষণ আপনারা প্রচার করেন না? আমি তো আমার জনতার চোখ দিয়ে দেখি সাংবাদিক হিসেব মোটামুটি ৯০ ভাগ গণমাধ্যমেই অহরহ এই তিনটা নৈতিক মানদণ্ড লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাহলে আল-জাজিরার নৈতিক মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অবস্থান আপনাদের আছে কিনা নিজেদেরকে সেই প্রশ্নও করা উচিৎ।   

  • দিলশানা পারুল: গবেষক ও এক্টিভিস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *