বাংলাদেশে নিওলিবারেলিজমের প্রধান দুই এজেন্ট হচ্ছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে রপ্তানি খাত আর সামাজিক ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ। রাজনীতির ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থার বিরোধী কোন রাজনৈতিক শক্তি সাম্রাজ্যের সমর্থন পাবে না। মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে নিওলিবারেল বিশ্বের কেন্দ্রের কোন রাষ্ট্র নয়, প্রান্তিক রাষ্ট্র। বৈশ্বিক নিওলিবারেল অর্থনীতিতে তার ভূমিকা মহাজনের নয়, মক্কেলের। ফলে কি রাজনীতি কি অর্থনীতি, সবখানেই তার নব্য-উদারীকরনের প্রকৃতি আর ফলাফলের একটা ভিন্ন চেহারা আছে।
বখতিয়ার আহমেদ সম্পাদকীয় মন্তব্য: নৃবিজ্ঞানী বখতিয়ার আহমেদের এই নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে, দৈনিক যুগান্তরে। ২০১৪ সালে একটি ছোট ভূমিকাসমেত তিনি তার ফেসবুক নোটে...
জাতিত্ববোধের ইতিহাসে একুশকে ঘিরে আমাদের অনুধাবন যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিকতায় অভিষিক্ত হওয়ার পরে, একুশের উত্তরাধিকারী জাতিটিরই সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব বর্তায় নিজের জাতিরাষ্ট্রের পরিসরে তাবৎ সাংস্কৃতিক জাতিস্বত্ত্বার ভাষা ও জাতিসত্ত্বাগত স্বীকৃতি নিশ্চিত করবার। একুশের চেতনার এমনতর উপলব্ধি উপযোগবাদীতা হলেও ক্ষতি কিছু নেই, কারণ ভুবনগাঁয়ের বিশ্বমানবের আবির্ভাবের লক্ষ্যে যে মানবিক রাজনীতি, তাকে সমর্থন যোগানোটা এই উপলব্ধির ইপ্সিত উপযোগই বটে।