সাংবাদিকতা: মানুষখেকো পুঁজিই কি শেষ কথা?

নয়া উদারবাদ ক্রমাগত সামাজিক সুরক্ষাকে সংকুচিত করে ঘটায় পণ্যায়ন। আবার একই সঙ্গে উন্নয়নের গালভরা বুলিতে নিশ্চিত করে পুঁজি ও পণ্যের অবারিত প্রবাহ। জাতিসঙ্ঘ- বিশ্বব্যাংক-আইমএফ- এডিবি- আইএনজিও এমন নানাবিধ প্রতিষ্ঠান মিলে ঠিক করে এর ব্যবস্থাপত্র, দাঁড়ায় শাসনের নতুন বয়ান, নতুন প্রত্যয়, নতুন জ্ঞানতত্ত্ব। এরই নাম নয়া উদারবাদী শাসকতা।

কাঠামোগত গণহত্যা : আশুলিয়ার নিওলিবারেল নরক-কুণ্ড

বাংলাদেশে নিওলিবারেলিজমের প্রধান দুই এজেন্ট হচ্ছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে রপ্তানি খাত আর সামাজিক ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ। রাজনীতির ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থার বিরোধী কোন রাজনৈতিক শক্তি সাম্রাজ্যের সমর্থন পাবে না। মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে নিওলিবারেল বিশ্বের কেন্দ্রের কোন রাষ্ট্র নয়, প্রান্তিক রাষ্ট্র। বৈশ্বিক নিওলিবারেল অর্থনীতিতে তার ভূমিকা মহাজনের নয়, মক্কেলের। ফলে কি রাজনীতি কি অর্থনীতি, সবখানেই তার নব্য-উদারীকরনের প্রকৃতি আর ফলাফলের একটা ভিন্ন চেহারা আছে।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় ‘নব্য-উদারনীতিবাদ’: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘কৌশলপত্র’ কেন গ্রহণযোগ্য নয়?

চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স বা সেমিস্টার পদ্ধতি ইউজিসির কৌশলপত্র অনুযায়ী হয়নি। তবে মর্মের দিক থেকে এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতির দিক থেকে কৌশলপত্রের সঙ্গে এর যথেষ্ট মিল আছে। এ ধরনের উদ্যোগ কোনো সুফল আনতে পারে না। বরং বিদ্যমান পদ্ধতির তাৎপর্যও নষ্ট করে। এ কারণেই ইউজিসি-প্রণীত কৌশলপত্র সম্পর্কে সতর্কতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যালোচনা করা দরকার।