বাংলাদেশের শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থার আজ অতি মুমূর্ষু দশা। একটা স্বাভাবিক সুস্থ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য যে ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, মুমূর্ষুর জন্য তা নেওয়া যায় না। মুমূর্ষুকে বাঁচাতে প্রথমেই যেমন দ্রুত তার সমস্যা শনাক্ত করতে হয়, তেমনি দ্রুততার সাথে তাকে সঠিক দাওয়াইটাও দিতে পারতে হয়।
১৯৪৭ বা ১৯৭১ এ গণ-মানুষের আকাঙ্ক্ষা যেইসব শিল্পী পড়তে পারেন নাই, ইতিহাস তাঁদের খারিজ করে দিসে। ২০২৪ আমাদের আবার আরেকটা নতুন সুযোগ করে দিসে, কালাচারাল পলিটিক্সে, জনপরিসরে—কোথাও এইসব অমীমাংসিত প্রশ্ন এড়ায় যাওয়ার আর সুযোগ নাই। যারা বর্তমানে বিপ্লবী সরকার বা কন্সটিটিউয়েন্ট এসেম্বলি বা নির্বাচনী বন্দোবস্ত নিয়ে ব্যস্ত আছেন—তাঁরা তাঁদের কাজটা করবেন আশা আছে।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী আমাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রের প্রথম লক্ষণ হবে এ শ্রেণির মানুষকে সম্বোধন করতে পারা। প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে পারা। এটা কেবল অধিকার বা মানবিকতার প্রশ্ন নয়। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রশ্ন। বিপুল জনগোষ্ঠীর ন্যূনতম জীবনমান নিশ্চিত করতে না পারলে তো আসলে ওই কুশলী জনগোষ্ঠী কখনো তৈরি হবে না, যারা রাষ্ট্রকে পরের ধাপে উন্নীত করবে।