‘মানুষ-বাঁধা’র ঘর

রবীন্দ্রনাথ যে ঘর বাঁধার তাড়না অনুভব করেছিলেন তার রূপ ব্যতিরেকে উদ্দেশ্যগত একটি আলাদা তাৎপর্য আছে। ঘরটি তিনি মানুষের জন্য বাঁধতে চেয়েছিলেন। এমন ভাবে বাঁধতে চেয়েছিলেন যাতে মানুষ তার সক্রিয়, সজীব এবং প্রধান অনুষঙ্গ হয়। বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের ঘর আছে, কিন্তু ঘর মানুষের হতে হলে যে প্রয়োজনীয় শর্তটি দরকার তাই যেনো হারিয়েছে। মানুষ বড্ড গৌণ হয়ে আছে। উন্নয়ন, বিকাশ, ঊর্ধ্ব গগনে যাত্রা সবই চলছে, মানুষের জন্য চলছে- মানুষের নামেই চলছে। কিন্তু কোথাও যেনো সে নেই। সাধারণ বিশেষ্য রূপে তার হাজিরা আছে।

ব্যাটারি-চালিত রিকশা, অহিদের সুন্দর-মসৃণ পা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুখ

আমরা তো আশা করতেই পারি, টাকা পাচার করা ছাড়া জীবনকে অর্থবহ করার আরো পন্থা যে আছে, বাংলাদেশের শাসকশ্রেণির অন্তত একাংশ দ্রুত তা উপলব্ধি করতে শিখবে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে কার্যকর সংগঠনে ক্রমশ রূপায়িত করার ধারাবাহিক উদ্যোগ ও উদ্যমে শামিল হবে। দুনিয়াব্যাপি যান্ত্রিক-প্রাযুক্তিক উন্নতির কল্যাণে সমস্ত মানুষের ভালো জীবনযাপনের যে সম্ভাবনা আজ হাতে মুঠোয়, তাকে মানুষের অধিকার হিসাবে ভাবতে-বুঝতে শিখবে। তাতে অহিদদের পায়ের সুরত সামষ্টিকভাবেই পাল্টে যাবে; আর সেই মসৃণ-সুন্দর পায়ে প্রতিফলিত হবে সুন্দর বাংলাদেশের মুখ।